ব্যুরো নিউজ, ২৭ এপ্রিল: কৃষ্ণা মুখোপাধ্যায় হল ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী। কৃষ্ণা অভিনয় করেছিলেন ইয়ে হ্যায় মহাব্বতে ধারাবাহিকে। পরে কাজ করেছেন শুভ সগুন ডেইলি সোপে। সঙ্গে ছিলেন শেহজাদা ধামি। তবে বঙ্গতনয়া কৃষ্ণা মুখোপাধ্যায় এই ধারাবাহিকে কাজ করার পর প্রচণ্ড আতঙ্কে রয়েছেন। কিন্তু কেন? কী এমন ঘটেছে তার সঙ্গে? চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
মেক আপ রুমে আটকে রাখা থেকে পাঁচ মাসের বকেয়া টাকা না দেওয়া
কৃষ্ণা টেলিভিশন থেকে আপাতত বিরতি নিয়েছেন শুভ সগুনে কাজের পর। অভিনেত্রী বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ধারাবাহিকের প্রযোজকের বিরুদ্ধে। কৃষ্ণা একেবারে ফুঁসে উঠেছেন মেক আপ রুমে আটকে রাখা থেকে পাঁচ মাসের বকেয়া টাকা না দেওয়া, ইনস্টা হ্যান্ডেলে এই সকল বিষয় নিয়ে। অবসাদ তাঁকে গ্রাস করেছে শুভ সগুনে কাজের পর, একথাও জানিয়েছেন তিনি নিজেই। তাঁকে প্রযোজকের দ্বারা এতটাই হেনস্থা হতে হয়েছে,
যে সারাক্ষণ একটা আতঙ্ক কাজ করছে তাঁর মধ্যে।
মেয়ের সঙ্গে রোম্যান্সের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বাবা! সিনেমায় নারাজ সারা আলি খান
কৃষ্ণা তাঁর ইনস্টা পোস্টে শেয়ার করেছেন ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা। কৃষ্ণা তার ইনস্টা পোস্টে জানিয়েছেন, তাঁকে অসুস্থ অবস্থায় আটকে রাখা হয়েছিল মেকআপ রুমে। তাঁকে দেওয়া হয়নি পাঁচ মাসের বেতন। আজ পর্যন্তও বাকি রয়ে গিয়েছে বেশ মোটা অঙ্কের টাকা। তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়েছে প্রযোজকের তরফে। সেই জন্যই তিনি মুখ বুঝে ছিলেন এতদিন। ভাবতেন যদি ফের একই ঘটনা ঘটে তাঁর সঙ্গে। এমনকি কৃষ্ণা চুক্তিবদ্ধ হতেও ভয় পান নতুন কাজের সঙ্গে। কেঁদেছেন একা একাই ঘরে। কৃষ্ণা গোটা ঘটনার বিবরণ দিয়ে ইনস্টা পোস্টে ঠিক কী লিখলেন?
http://দু’কোটি বছর আগের পর্বতমালার খোঁ
‘আমি এর আগে সাহস পাইনি আমার মনের ভিতর জমে থাকা কথাগুলো বলার জন্য। কিন্তু, আজ সাহস জুগিয়েছি সবটা বলব বলে। আমি একটা খুবই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। গত এক থেকে দেড় বছর জীবনে অনেক কিছু সহ্য করেছি। যেগুলো আমার জন্য একেবারেই সহজ ছিল না। ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছি। যখন একা থাকি প্রচণ্ড কান্না পায়। এই সব কিছুর সূত্রপাত আমার শেষ শো শুভ সগুনের সেট থেকে। এটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে ভুল পদক্ষেপ’।
শুধু তাই নয়, সঙ্গে অভিনেত্রী আরও লেখেন, ‘আমি এই শো-টা করতে চাইনি। কিন্তু, সকলের কথা শুনে কনট্র্যাক্ট পেপারে সই করেছি। প্রযোজনা সংস্থা ও প্রযোজক কুন্দন সিং আমাকে একাধিকবার সমস্যায় ফেলেছেন। এমনকী আমাকে একটা দিন মেকআপ রুমে আটকে রাখা হয়েছিল। কারণ সেদিন আমার শরীর ভালো ছিল না। বলেছিলাম শ্যুটিং করতে পারব না। তাছাড়া সেই সময় আমার অনেকগুলো বকেয়া টাকাও বাকি ছিল। মেক রুমে এত জোরে ধাক্কা মেরেছিল যেন মনে হচ্ছিল ভেঙে যাবে। সেই মুহূর্তে আমি পোশাক বদলাচ্ছিলাম’।