ব্যুরো নিউজ, ১৩ এপ্রিল : ১৯ এপ্রিল রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচন। প্রথম দফায় উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে নির্বাচন। দলীয় কর্মীদের হয়ে সেখানে প্রচার সারছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়ের হয়ে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে জনসভা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এই মঞ্চ থেকে আরো একবার বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মমতা।
মহাযুদ্ধের আশঙ্কা! ২৪ ঘন্টার মধ্যে বাধতে চলেছে ভয়ংকর যুদ্ধ
হারের আশঙ্কা থেকেই কি আর্জি তৃণমূল সুপ্রিমোর?
উল্লেখ্য, ২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে প্রার্থী হন বর্ষীয়ান নেতা তথা মন্ত্রী গৌতম দেব। সেই সময় গৌতম দেবের হয়ে তৃণমূল নেত্রী যখন ফুলবাড়িতে প্রচারে গিয়েছিলেন তখন যে হারে জন সমর্থন পেয়েছিলেন তাতে এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন ওই কেন্দ্র থেকে গৌতম দেবের জয় নিশ্চিত। কিন্তু ভোটের ফলপ্রকাশের পর দেখা গেল উল্টো ছবি। ওই কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন বিজেপির
শিখা চট্টোপাধ্যায়। যিনি এক সময় তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। প্রসঙ্গত, ২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
এদিন, গৌতম দেবকে মঞ্চে নিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘সেবার দেখেছিলাম, এই মাঠ ভর্তি লোক। কিন্তু পরে দেখলাম, গৌতমদা হেরে গেলেন। যাঁকে আপনারা জিতিয়ে বিধায়ক করলেন, তাঁকেও কিন্তু আমি রাস্তা থেকে তুলে এনে আমার দলে ঠাঁই দিয়েছিলাম। পরে সে দল ছেড়ে বেরিয়ে যায়। কী লাভ হল তাঁকে জিতিয়ে? কোনও কাজ করেছে? কাজ করলে জেতাবেন, আমার আপত্তি নেই। কিন্তু কাজ তো তৃণমূল করে।’
অন্যদিকে, আমরা যদি ১৯- এর লোকসভ নির্বাচনের দিকে নজর রাখি দেখ যাবে তখন উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহলে গেরুয়া ঝড় উঠেছিল। সেই প্রসঙ্গ তুলে উত্তরবঙ্গবাসীর কাছে তৃণমূল নেত্রীর প্রশ্ন, ‘তৃণমূল কী দোষ করেছিল বলুন? উত্তরবঙ্গের সব আসন বিজেপি পেল, জঙ্গলমহলের সব আসনও বিজেপি পেল। কেন তৃণমূল পেল না? কী দোষ ছিল? কাজ তো কিছু কম হয়নি এখানে। ভোটটা দয়া করে আর বিজেপিকে দেবেন না। কাজটা করে তৃণমূলই।’ তবে এবারের নির্বাচনে কার পাল্লা ভারি হয় সেটা জানা যাবে ৪ জুন।