ব্যুরো নিউজ, ৪ এপ্রিল, শর্মিলা চন্দ্র: ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত প্রকাশ্যে। এবার রাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। উল্লেখ্য নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে ব্রাত্য বসুকে সরানোর সুপারিশ করেছেন রাজ্যপাল।
শাহজাহানের দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল ইডি বিপদ বাড়ছে সন্দেশখালির বেতাজ বাদশার
চরমে রাজ্য-রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব
সূত্রের খবর, সম্প্রতি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠনের সম্মেলন হয়। সেই সন্মেনলে যান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেখানে জেলায় তৃণমূলের দুই প্রার্থীও উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাটআউটও বসানো ছিল ওই সভায়। সেখানে উপস্থিত থেকে ব্রাত্য বসু রাজনৈতিক আলোচনা করেছেন। শিক্ষাঙ্গনে কেন রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে, সেই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল। শুধু তাই নয়, এরপর রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে পদ থেকে সরিয়েও দেন। যদিও তার কিছুক্ষণের মধ্যে উপাচার্যকে তাঁর পদে পুনর্বহাল করে রাজ্য সরকার। আর এবার শিক্ষামন্ত্রীকে সরানোর সুপারিশ করলেন রাজ্য সরকার।
যদিও এই বিষয়ে এক্স হ্যান্ডেলে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু লেখেন, ‘রাষ্ট্রপতির কাছে আমি রাজ্যপালের অপসারণের সুপারিশ করলে যা হবে সেটা যতটা হাস্যকর হবে, এটা ততটাই হাস্যকর। আমি বিধিভঙ্গ করলে কোনও রাজনৈতিক দলের সেটা কমিশনের নজরে আনার কথা, তার পর পদক্ষেপ করার কথা কমিশনের। এই ধরনের অভিযোগ করে উনি (রাজ্যপাল) সাংবিধানিক পদের অপব্যবহার করেছেন এবং নিজের রাজনৈতিক পরিচয় সামনে এনেছেন। সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে, মন্ত্রীর নিয়োগ বা অপসারণ মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। উনি (রাজ্যপাল) শুধু নিজের আসল রং দেখাননি, নিজের সাংবিধানিক সীমাও ছাড়িয়ে গিয়েছেন।’ সব মিলিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব যে ক্রমশ জটিল হচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।