শর্মিলা চন্দ্র, ২১ মার্চ: সন্দেশখালি নিয়ে যা হয়েছে সেটা সবটাই রাজনীতি, এমনটাই মত ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শাহজাহানের বিরুদ্ধে যে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা পুরোটাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের আগে তৃণমূলকে দুর্বল করতেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানান তিনি।
পিছিয়ে গেল UPSC প্রিলিমস পরীক্ষার দিনক্ষণ! কবে হবে পরীক্ষা?
যতই অভিযোগ থাক শাহজাহানেরই পাশে দাঁড়ালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের অভিযোগ, সন্দেশখালির মহিলাদের আন্দোলন ছিল শিবপ্রসাদ হাজরা ও উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে। পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করেছে। সিবিআই এখনও তাঁদের হেফাজতে নেয়নি কেন? বিজেপির আসল উদ্দেশ্য নারী সুরক্ষা না। তৃণমূলের সংগঠনকে দুর্বল করা।
এর পাশাপাশি সিপিএম, বিজেপিকেও নিশানা করতে ছাড়েননি অভিষেক। ওরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ পেলে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ঢোকায়! এটাই পার্থক্য।
ভালবেসে অবলাদের রং মাখালে হতে পারে কড়া শাস্তি
অন্যদিকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সরব হয়েছে বিরোধীরা। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী জানান, প্রায় দু’মাস ধরে শাহজাহানকে আড়াল করে রেখে প্রমাণ লোপাটের সব চেষ্টা হয়েছে। আদালত যখন বলেছে ইডি-সিবিআইও চাইলে গ্রেফতার করতে পারবে, তখন পুলিশকে দিয়ে গ্রেফতার দেখিয়ে সিআইডির হেফাজতে রেখে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। আদালতেরই নির্দেশে শাহজাহানকে সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর পরে এ সব কথার মানে কী? প্রশ্ন তুলেছেন সুজন চক্রবর্তী।
উল্লেখ্য, সন্দেশখালিতে শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল শাহজাহান ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পর বিধানসভায় দাঁড়িয়ে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন শাহজাহানকে নাকি ‘টার্গেট’ করা হচ্ছে। আর এবার একই পথে হেঁটে শাহজাহানেরই পাশে দাঁড়াতে দেখা গেল তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কামান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।