ব্যুরো নিউজ, ২০ মার্চ: মুখ বাঁচাতে কি এই সিদ্ধান্ত?
গত রবিবারই এক ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে কলকাতাবাসী। মধ্যরাতে কলকাতার গার্ডেনরিচে ভেঙে পড়ে বহুতল বাড়ি। আর পাশেই ঝুপড়ি থাকায় সেই ঝুপড়ির উপরেই ভেঙে পড়ে বহুতল। মধ্যরাতে হাহাকার দেখা যায় মানুষের। এই দুর্ঘটনায় প্রায় ১০ জলের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে পুরসভা-প্রশাসনের দিকে। বিরোধীরাও সরব হয়েছেন এই বিষয়ে। বেআইনি নির্মাণের জন্যই নিরীহ মানুষগুলো বিনা দোষে প্রাণ হারিয়েছেন বলে রাজ্য- প্রশাসনের দিকেই আঙ্গুল তুলেছেন তারা। যদি পুরসভা ও প্রশাসন বে -আইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিত তবে এই ঘটনা ঘটত না বলেও দাবি জানিয়েছেন তারা।
তৃণমূলের থিম সং শ্যুটে শতাব্দী রায়
এদিকে মধ্য রাতে এই ঘটনার খবর পেয়েই, পরদিন সকালেই মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী। সকলের সঙ্গে কথা বার্তা বলেন, এমনকি হাসপাতালে গিয়ে কথাও বলেন আহতদের সঙ্গে। ঘটনায় শোক প্রকাশও করেন তিনি। তবে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে এই বিষয়ে প্রশ্ন কড়া হলে, তিনি স্বীকার করেন যে বাড়িটি তৈরির ক্ষেত্রে অনুমোদন ছিল না। তবে এর পেছনে যে শাসকদলের প্রভাবশালীদের মদত রয়েছে সেই অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দেন তিনি। তিনি জানান, অনেক জায়গাতেই এমন বহু জ-আইনি নির্মাণ হচ্ছে, আর সেসবের হিসাব জন-প্রতিনিধিদের পক্ষে রাখা কখনই সম্ভব নয়।
গার্ডেনরিচ কাণ্ডের পর বড় নির্দেশ পুরসভার

তবে শুধু বে- আইনি নির্মাণ নয়, কলকাতার গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় দশ জন। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত রাজ্য- রাজনীতি। বিরোধীদের দাবি এই ঘটনার জন্য দায়ি একমাত্র প্রশাসন। এরপরই নড়েচড়ে বসে পুরসভা। বদলি করা হয় ইঞ্জিনিয়ারদের। বরো ১৫-এর প্রায় সব ইঞ্জিনিয়ারকে বদলি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিল্ডিং ওয়াটার সাপ্লাই জঞ্জাল ব্যবস্থাপনা সহ সব বিভাগের ইঞ্জিনিয়রকে বদলি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এরই পাশাপাশি বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিকদের জন্য জারি করা হয়েছে নয়া নির্দেশিকা।
জানা গিয়েছে, বিল্ডিং বিভাগের সাব অ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়াররা এবার থেকে কাজ শুরুর কিছুটা সময় নিজেদের ওয়ার্ডে ঘুরে দেখবেন কোথাও কোনও বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে কিনা। এরপর রিপোর্ট তৈরি করে তা জমা দিতে হবে। এমনকি প্রতিদিন তারা ওয়ার্ডে যাচ্ছেন কি না তার নজরদারি করবে এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ররা।
গার্ডেনরিচ কাণ্ডে রীতিমত আঙ্গুল উঠেছে প্রশাসন ও পুরসভার ওপর। সাধারণ মানুষ থেকে বিরোধীরা সকলেই আঙ্গুল তুলেছে পুরসভার দিকে। এদিকে সামনেই লোকসভা নির্বাচন তার আগে রীতিমত চাপে রাজ্যের শাসক দল! তাই কি নিজেদের মুখ বাঁচাতেই এই সিদ্ধান্ত পুরসভার এই প্রশ্নই তুলছে বিরোধী শিবির।
 
				
 
								 
								 
								 
								


















