ব্যুরো নিউজ, ২৬ ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালিতে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি। সেখানেই গ্রামের মহিলাদের হাতেই ‘কুপোকাত’ অজিত। পালানোর পথ না পেয়ে শেষে গ্রামেরই এক বাসিন্দার বাড়িতে ঢুকে পড়লেন। চাপের মুখে পড়ে নিজের মুখে স্বীকারও করলেন দুর্নীতির কথা। এমনকি এও জানান যে, দলও ছেড়ে দেবেন তিনি।
অপরাধমূলক কার্যকলাপ বন্ধ করতে উদ্যোগ প্রশাসনের
এদিন ফের তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির উপর চড়াও হন স্থানীয়রা। তৃণমূলের কোনও প্রভাবশালীদের সঙ্গে আপোষ করতে রাজি নয় সন্দেশখালির বাসিন্দারা। এদিকে তৃণমূল নেতা অজিত সিরাজ ‘ঘনিষ্ঠ’। তাই কোনওভাবেই ‘সমঝোতা’ নয়। তাই বেড়মজুরের তৃণমূল নেতার কপালে জুটলো লাঠি-ঝাঁটা। মহিলা ‘বাহিনীর’ মুখে পড়ে একেবারে দিক শূন্য হয়েই ঢুকে পরেন এক স্থানীয়র বাড়িতে। পড়ে অবশ্য জানা যায়,তিনি এক সিভিক ভলান্টির। এরপর সেই বাড়ির সামনেই চলে বিক্ষোভ। শাসক দলের ‘পোষা’ পুলিশ অজিতকে উদ্ধার করতে এলেও বাঁধে বচসা।
গতকাল সন্ধ্যাতেই প্রথমে আটক করা হয় তাকে। তার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ গ্রামবাসীদের। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল নেতা অজিত মাইতিকে।
শেখ শাহজাহান ও তার ভাই শেখ সিরাজের ‘খাস আদমি’ ছিলেন অজিত। এলাকায় দাপিয়ে বেরাতেন তিনি। এমনটাই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। এলাকার মানুষের জমি দখল, টাকা-পয়সা লুঠ-সহ বেলাগাম অত্যাচার চালাত এই তৃণমূল নেতা। এদিকে অজিতের সাফাই, জমি দখলের বিষয়টি তিনি নাকি জানতেনই না। পাশাপাশি গতকালই তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক।