ব্যুরো নিউজ, ২৬ ফেব্রুয়ারি: জানুয়ারির শুরুতে ঘটনার সূত্রপাত। এখন ফেব্রুয়ারির প্রায় শেষ। কিন্তু এখনও অধরা সন্দেশখালির সম্রাট শেখ শাহজাহান। গ্রেফতার তো বহু দূর এখনও তার ‘টিকি’টাও খুঁজে পায়নি রাজ্য পুলিশ।
আর এদিকে জ্বলছে গোটা সন্দেশখালি। তৃণমূলের কোনও নেতা-মাথাকে মানতে নারাজ সেখনকার জনগণ। তাই তাদের বিরুদ্দে ‘ব্যাট হাতে ময়দানে মহিলা বাহিনী, শুধু টাই নয় লাঠি- ঝাঁটা, যে হাতের কাছে যা পেয়েছে টাই নিয়েই দেদার হাকাচ্ছেন চার-ছয়। এমনকি সেখানেই শেষ নয়, মহিলা শিবিরের তাড়া খেয়ে রীতিমতো দিক শূন্যও এই প্রভাবশালীরা। তার উপর চলছে পথে নেমে প্রতিবাদ। রাস্তায় কাঠের গুড়ি ফেলে পথ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। কখনও বা পথেই জ্বালানো হচ্ছে আগুন। কোনও ভাবেই প্রশাসনের জোর- হুকুম মানতে নারাজ তারা।
সৌর বিদ্যুতেই চলবে চিড়িয়াখানা | জানালেন আম্বানি
এই ক্ষুব্ধ জনগনের রোষেই কার্যত শাহাজাহানের ২ সাগরেদ উত্তম, শিবুকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ। একইসাথে রব অত্যাচারিদের’ শাস্তি চাই, শাহাজাহানের ফাঁসি চাই’। এদিকে হাইকোর্টও জানিয়ে দিয়েছে, শাহজাহানকে গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা নেই। এই পরিস্থিতিতেই শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে নতুন করে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
শাহজাহানের বিরুদ্ধে নতুন এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তবে শুধু শেখ শাহজাহান একা নন, সঙ্গে রয়েছে দুই সাগরেদের নামও। শিবু হাজরা, উত্তম সর্দার। আট জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, শ্লীলতাহানি, ভয় দেখানো, অত্যাচার-সহ একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার মেহদি হাসানকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, আমরা অভিযোগ পেয়েছি।
কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারির ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। আপাতত সন্দেশখালির মামলার উপর কোনও স্থগিতাদেশ থাকছে না। এদিকে আবার তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ টুইটে লিখেছেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হবেন।