ব্যুরো নিউজ, ৩ ডিসেম্বর: রাতে ‘পুলিশি হেনস্থা’ | তবুও অবস্থানে অনড়
কেটে গিয়েছে ১৪টা বছর, এখনও কেন সামনে আসছে না প্যানেল? এই প্রশ্ন ২০০৯ সালের দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীদের।
AIIMS হাসপাতালে নিয়োগ দুর্নীতিতে CID | গ্রেফতার ১
১৪ বছরে রামের বনবাস শেষ হলেও, ১৪ বছরে ‘অবস্থান বনবাস’ শেষ হয়নি চাকরিপ্রার্থীদের।
সময়টা ২০০৯ সাল। আর তখন থেকেই শুরু হয় ‘যুদ্ধ’। শনিবার দুপুর থেকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে একজোট হতে শুরু করেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু, অনুমতি না থাকায় পুলিশ তাঁদের উঠে যেতে বলে। তবুও অনড় চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু এখনেই শেষ নয়, রাতে পুরুষ আন্দোলনকারী চাকরিরপ্রার্থীদের গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজার।
লালবাজার থেকে ছাড়া পেতেই ফের ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থান। কিন্তু, মধ্যরাতে আচমকা আন্দোলন মঞ্চে হানা দেয় পুলিশ। তুলে দেওয়া হয় ২০০৯ সালের দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীদের। আর মাঝরাতেই চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি। ফের তুলে নিয়ে যাওয়া হয় আন্দোলন মঞ্চে থাকা পুরুষ প্রার্থীদের।
কিন্তু তারপরেও নিজেদের অবস্থানে অনড় মহিলা চাকরিপ্রার্থীরা। সারারাত খোলা আকাশের নিচে তাদের চাকরির দাবিতে অনড় অবস্থান করেন মহিলা প্রার্থীরা। এই অবস্থায় বাড়ছে ক্ষোভ। তাঁদের দাবি, কোনও সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা না করে তাঁরা আন্দোলন থেকে সরছেন না। তাঁদের প্রশ্ন, কেন ১৪ বছর কেটে গেলেও সামনে আসছে না প্যানেল?
সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, “আমরা সারারাত এখানে ছিলাম। এখনও আছি। ১৪ বছর ধরে আমরা বঞ্চিত। শুধু কোর্টের বাহানা দেওয়া হচ্ছে। কোনও প্যানেল দেওয়া হচ্ছে না। সরকারি আধিকারিদের সঙ্গে আমরা দেখা করতে চেয়েছিলাম। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, বা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করানোর কথা বলেছিলাম। কিন্তু, কোনও সহযোগিতা করা হচ্ছে না।”
পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, “গতকাল সন্ধ্য়াবেলাও আমাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে ছেড়ে দিলে ফের আমরা আন্দোলন শুরু করি। রাতে এসে আমাদের পুলিশ বলে অনুমতি ছাড়া এখানে বসতে দেওয়া হবে না। আমাদের পুরুষ সঙ্গীদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। আমরা এখানেই থাকব। যতক্ষণ না আমাদের কোনও সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করানো হচ্ছে ততক্ষণ আমরা এখানেই থাকব।” ইভিএম নিউজ