ব্যুরো নিউজ, ২৮ ডিসেম্বর: ভাঙড়ে বিডিও অফিসে হুলুস্থুলু! আইএসএফ-তৃণমূল ‘যুদ্ধ’
ঝামেলা, অশান্তি, গোলমাল, উত্তেজনার কোথা শুনলে যে জায়গার কোথা আগে মনে পরে, তা হল ভাঙড়। আর এবার বিডিও অফিসের মধ্যেই তুমুল উত্তেজনা! কথাকাটাকাটি, বচসায় জড়াল তৃণমূল ও আইএসএফের জনপ্রতিনিধিরা।
পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়া তো হল, তবে আর বাড়ি ফেরা হল না যুবকের
বৃহস্পতিবার ভাঙড়-২ নম্বর ব্লকে পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী ও ভাঙড়-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরাবুল ইসলাম। বৈঠক যখন প্রায় শেষের মুখে, তখনই শুরু হয় তীব্র বচসা, আর তার জেরে কথাকাটাকাটি। ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিডিও অফিস চত্বর। শেষে পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কাশীপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
জানা যায়, এদিন স্থায়ী সমিতির বৈঠকে বক্তব্য রাখছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরাবুল ইসলাম। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নওশাদ। কিন্তু আইএসএফ-এর জনপ্রতিনিধিরা প্রশ্ন তোলে, আরাবুলের বক্তব্য শেষ হওয়ার পরই সভার কাজ শেষ করে দেওয়া হয়। কেন এলাকার বিধায়ক নওশাদ সেখানে উপস্থিত থাকলেও, তাঁকে বক্তব্য় রাখার সুযোগ দেওয়া হল না? সেই নিয়েই বচসা শুরু হয় দুই দলের।
স্থায়ী সমিতির বৈঠকে ডেকে এনে ‘অসৌজন্য’ দেখানো হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে বেজায় ক্ষুব্ধ ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। নওশাদের বক্তব্য, নিয়ম মেনে যে সাধারণ সভা ডাকা হয়েছিল, সেখানে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করে দেওয়া হয়েছে। বিরোধীদের কিছু বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। বিধায়ক হওয়ার সুবাদে এই সভার আমিও একজন সদস্য। কিন্তু আমার প্রতি যে ন্যূনতম সৌজন্য দেখানো হয়নি। আমি বিডিও-র কাছেও গিয়েছিলাম। আমাদের ডেকে অপমান করা হল কেন? ডাকার তো কোনও প্রয়োজন ছিল না। সাংসদ-বিধায়করা যদি কথা না বলতে পারেন, তাহলে আমন্ত্রণের কোনও প্রয়োজন ছিল না। ইভিএম নিউজ