ব্যুরো নিউজ, ২১ সেপ্টেম্বর: প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভক্তি বিনোদ ঠাকুরের স্মারক ছাত্র বৃত্তি
ভক্তি বিনোদ ঠাকুরের স্মারক ছাত্র-বৃত্তি চালু হচ্ছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যান্দ। গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্মের আধ্যাত্মিক সংস্কারক, ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর ভারতীয় হিন্দু দার্শনিক, সাধক তথা ধর্মগুরু কেদারনাথ দত্ত ভক্তি বিনোদ ঠাকুর (১৮৩৮-১৯১৪) তাঁর জন্মস্থান নদীয়া জেলার বীরনগরের গ্রামীণ স্কুলে প্রাথমিক লেখাপড়ার পাঠ শেষ করে কলকাতার হিন্দু কলেজে ভর্তি হন।
পরে যার নাম পরিবর্তন হয় প্রেসিডেন্সি কলেজ। বর্তমানে যেটি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত। এবার সেই প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়েই ভক্তি বিনোদ ঠাকুরের স্মারক ছাত্র বৃত্তি চালু হচ্ছে।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক অনুষ্ঠানে ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের পক্ষ থেকে এই এনডাওমেন্ট বা ছাত্র বৃত্তির চেক তুলে দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপিকা ডক্টর সুহৃতা সাহার হাতে। উপস্থিত ছিলেন সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর উপল চক্রবর্তী, অধ্যাপিকা ডক্টর সুকন্যা সর্বাধিকারী ও বেলুড় বিদ্যমন্দিরের ইতিহাসের অধ্যাপক ডক্টর শান্তনু দে।
সুরুচি সংঘের ‘থিমের ক্যাচ লাইন’ প্রকাশ
ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের ডিন ডঃ সুমন্ত রুদ্র বলেন, “ভক্তিবিনোদ ঠাকুর শুধুমাত্র একজন আধ্যাত্মিক সংস্কারক ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারকও। তাই ধর্মীয় শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নে এই বৃত্তি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে তুলে দিতে পেরে আমরা গর্বিত”।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ডক্টর সুহৃতা সাহা জানান, “কেদারনাথ দত্তের নাম রয়েছে হিন্দু কলেজের পুরনো নথিতে। এই মহান দার্শনিকের নামে ছাত্রবৃত্তি চালু করে তাঁর কর্মকান্ড নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে চান তাঁরা”। তিনি বলেন, ভক্তিবিনোদ ঠাকুর ১৮৫৩ সালে হিন্দু কলেজের ছাত্র ছিলেন। ১৮১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হিন্দু কলেজ ছিল পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রথম প্রতিষ্ঠান যা ১৮৫৫ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ ও ২০১০ সালে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়। প্রেসিডেন্সির সেই দীর্ঘ ইতিহাসের সংরক্ষণে বর্তমানে ব্রিটিশ লাইব্রেরি ও শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় হিন্দু বা প্রেসিডেন্সি কলেজের পুরনো নথিপত্র নিয়ে একটি আর্কাইভ তৈরি করা হয়েছে। সেই আর্কাইভ থেকেই কেদারনাথ দত্তের নাম সম্বলিত হিন্দু কলেজের তৎকালীন একটি রেজিস্টার-নথি এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ইভিএম নিউজ