বহিষ্কৃত

ব্যুরো নিউজ, ২৭ ডিসেম্বর: বহিষ্কৃত বিজেপি নেতার সঙ্গে চায়ে পে চর্চা সাংসদের |লোকসভার আগে এই সাক্ষাৎ কিসের ইঙ্গিত?

২০২৪ এর লোকসভা ভোটের আগে রাজ্য জুড়ে জেলা সংগঠন গুলোকে আরও মজবুত করার প্রক্রিয়া নিয়েছে বিজেপি। দলের একাংশ জানিয়েছে, একদিকে যেমন বহিষ্কৃত নেতাদের অনেককে দলে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে দলীয় স্তরে আলোচনা চলছে, পাশাপাশি দলের সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে দলের সাথে দূরত্ব তৈরি করে নেওয়া গুরুত্বপূর্ন কর্মীদের ফের বুঝিয়ে দলে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
বিজেপির বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলার সংগঠনের কাজকর্ম নিয়ে সম্প্রতি নানান অভিযোগ সামনে এসেছে। এমনকি খোদ সভাপতিকে অপসারণের দাবিতে দলেরই একাংশ কর্মী বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। এই অবস্থায় আগামী বছর লোকসভা ভোটে বর্ধমানের এই আসন আদৌ বিজেপি ধরে রাখতে পারবে কিনা তা নিয়েই দলের অন্দরে ধন্দ তৈরি হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে সোমবার সন্ধ্যায় জেলার বহিষ্কৃত নেতার সঙ্গে চায়ে পে চর্চায় খোদ সাংসদ! বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুয়ালিয়াকে দেখা গেল বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলার বহিষ্কৃত নেতা শ্যামল রায়ের সঙ্গে। তাও আবার বর্ধমান গুসকরা রোডের ওপর শ্যামল রায়ের নিজের ধাবা তেই।
জানাগিয়েছে, সাংসদ বহিষ্কৃত নেতা শ্যামল রায়ের ধাবায় চা খেতে গিয়েছিলেন। এদিন ভাতারে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে ফেরার পথে চা খেতে রাস্তার ধারে শ্যামল রায়ের হোটেলে আসেন তিনি। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ দুজনের কথাবার্তা হয়। যদিও এই সাক্ষাৎ কে দুই নেতাই আকস্মিক ও সৌজন্যমূলক বলেই দাবি করেছেন। এরমধ্যে রাজনীতির কোন বিষয় নেই।
অন্যদিকে শ্যামল রায় জানিয়েছেন, ‘সাংসদ ভাতারের একটি কার্যক্রম সেরে ফেরার পথে আমার হোটেলে চা খেতে এসেছিলেন। টাকা মিটিয়ে দিয়েছেন। যেটুকু সময় ছিলেন সৌজন্যতার খাতিরে ওনার কাছে বসেছিলাম। আমি এই মহুর্তে দলের একজন সমর্থক মাত্র। স্বাভাবিকভাবেই সাংসদের সঙ্গে আমার কোন রাজনৈতিক আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনাই নেই।’
পাশাপাশি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুয়ালিয়া জানিয়েছেন, ‘ একটি দলীয় কর্মসূচি সেরে ফেরার পথে চা খেতে একটি হোটেলে দাঁড়িয়েছিলাম। ঘটনাচক্রে জানতে পারি হোটেলটি আমাদের দলেরই একসময়ের নেতা শ্যামল রায়ের। এর মধ্যে কোন রাজনীতি নেই। শ্যামলের সঙ্গে অনেকদিন পর দেখা হল, তাই চা খেতে খেতে কিছুক্ষণ গল্প করেছি। দুজন মানুষের সঙ্গে দেখা হলে ভাব বিনিময় করাটা তো আমাদের সৌজন্যতা। আর তাছাড়া আমাদের দলের একটা শৃংখলা রয়েছে। কেউ যদি সেই শৃংখলা ভঙ্গ করেন, দলের ঊর্ধ্বতন নেতাদের নির্দেশ মতো সেই নেতা- কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়। অনেকক্ষেত্রে দল মনে করলে সেই সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনাও করে। শ্যামল রায় তো আর বিজেপি ছেড়ে অন্য কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হয়নি, তাহলে সাক্ষাৎ হলে অসুবিধা কোথায়?’ এমনটাই সাফ জানিয়েছেন সাংসদ।

এদিকে আসন্ন লোকসভা ভোটের আগে বহিষ্কৃত বিজেপি নেতার সঙ্গে সাংসদের আলাপচারিতাকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকেই দেখছে বিশিষ্টমহল। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর