দিকে

ব্যুরো নিউজ, ১ ফেব্রুয়ারি: পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিশাল গ্রহাণু | সতর্কবার্তা নাসার 

পৃথিবীর দিকে ঝড়ের গতিতে ধেয়ে আসছে বিশাল আয়তনের একটি গ্রহাণু। বিপদজনক এই গ্রহাণুকে ২০০৮ OS৭ বলে চিহ্নিত করেছে নাসা। পৃথিবীর ১.৭ মিলিয়ান মাইলের মধ্যে চলে আসতে পারে এই গ্রহাণু। গ্রহাণুটি চাঁদের থেকে ৭ গুন বড় ও ১১ মাইল পার সেকেন্ডে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। যদিও স্বাভাবিকভাবে মনে করা হয় ১.৭ মিলিয়ন মাইল পথ খুব দীর্ঘ। কিন্তু মহাকাশের দিক থেকে গ্রহাণুগুলি অনুযায়ী এটি পৃথিবীর অনেক কাছাকাছি চলে আসবে। ইতিমধ্যেই বিজ্ঞানীরা এর ওপর কড়া নজর রাখছেন। এই গ্রহাণুটি প্রতি ৯৬২ দিন অন্তর পৃথিবীর পাশ দিয়ে উড়ে যায়। শুক্রবার ২রা ফেব্রুয়ারি গ্রিনিচ মিন টাইম অনুযায়ী দুপুর দুটো একচল্লিশ মিনিট নাগাদ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছ দিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে এই গ্রহাণুটির। এটিকে সম্ভাব্য বিপদ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এটি পৃথিবীর এত কাছাকাছি থাকবে যে তার প্রভাবে পৃথিবীর কোন ক্ষতি হলেও হতে পারে। অনুমান করা হচ্ছে যে গ্রহাণুর দ্বারা ১৫০০ ফুট ব্যাস যুক্ত একটি শহরের উপর ১১ মাইল চওড়া গর্ত সৃষ্টি করতে পারে ও সঙ্গে সঙ্গে দুই মিলিয়ন মানুষ উবে যেতে পারে। ১৪১ গিগেটন টিএনটি সমতুল্য হবে। যদি এই গ্রহানু কোন ফায়ার বল ছেড়ে দেয় তাহলে আরও ১১ মিলিয়ন মানুষ মারা যাবে।

সৈকত শহর দীঘায় আয়োজিত ভলিবল প্রতিযোগিতা

University of Warwick এর পদার্থবিদ্যার বিভাগে একজন রিসার্চ ফেলো ডঃ মিন জাইনিক বলছেন, আমাদের এটা নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করার দরকার নেই। কারণ এই গ্রহটি পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করবে না। যদিও এটি পৃথিবীর খুব কাছাকাছি চলে আসবে। আমাদের সৌরজগতের লক্ষ লক্ষ এমন গ্রহানু আছে, যার মধ্যে ২৩৫০ টি গ্রহানুকে সম্ভাব্য বিপদজনক হিসেবে দেখা হচ্ছে। ২০০৮ OS৭ এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিকটি হল এর ব্যাস ৭২৫ ফুট থেকে ১৬৬২ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। এই ব্যাস নির্ণয় করা হয়েছে এর উজ্জ্বলতা ও প্রতিফলিত বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে। এই গ্রহাণুটি ছোট বা মাঝারি আকারের গ্রহাণুর বিভাগে রাখা হয়েছে। যা একটি ফুটবল মাঠের আকারের সমান।

গ্রহানুর ঝুঁকি কতটা আছে ও এই বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে নাসার জেট প্রপালসন ল্যাবরেটরীতে সেন্টার ফর নেয়ার আর্থ সাবজেক্ট স্টাডিস পরিচালিত সংস্থা দ্বারা। বেশিরভাগ গ্রহাণু ও ধূমকেতুর নির্দিষ্ট কক্ষপথ আছে। যা তাদের পৃথিবীর খুব কাছাকাছি নিয়ে আসে না। যদি কখনো তারা ৪.৬ মিলিয়ন মাইলের মধ্যে চলে আসে ও ৪৬০ ফুটের চেয়ে বড় হয় তবেই তাদের বিপদজনক হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। একটি সম্ভাব্য বিপদজনক গ্রহাণু হলো ৯৯৯৪২ Apophis যা ১৪ই এপ্রিল ২০২৯ এ বিপদ ঘটাতে পারে। নাসার ওসিরিস এপেক্স মহাকাশযান বর্তমানে গবেষণার জন্য গ্রহানুর দিকে যাচ্ছে। তাদের গবেষণার মূল বিষয় হলো গ্রহাণুগুলো যদি পৃথিবীর কাছাকাছি কখনো চলে আসে তাহলে পৃথিবীর কী কী পরিবর্তন ঘটে যাবে। Apophis কে ২০৬৮ সালে সবথেকে বেশি বিপজ্জনক বলে অনুমান করছে বিজ্ঞানীরা। যদিও বিশেষজ্ঞরা পরবর্তীকালে তাদের এই মতামত সংশোধন করেছেন ও মনে করছেন ওই সময় অতটা ঝুঁকির সম্ভাবনা নেই। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর