লাবনী চৌধুরী, ৫ অক্টোবর: নবান্নে হনুমানের হানা
হঠাৎ করেই হনুমানের হানা নবান্নে। নবান্নের বেশ কয়েকটা ফ্লোর লম্পো-ঝম্পো করে রীতিমত দাপিয়ে বেড়ায় হনুমানটি।
দেদারে চলছে ‘বাঁদরের বাঁদরামি’
বৃহস্পতিবার সকালে আচমকাই নবান্নের ১৩ তলার বারান্দা দিয়ে নবান্নের ভেতরে ঢুকে পড়ে ‘বাজরাঙ্গি’। নবান্নের বারান্দা দিয়ে এক লাফ। আর ‘বাজরাঙ্গি’র পেছন পেছন হাতে ওয়াকিটকি নিয়ে ছুটছেন নিরাপত্তারক্ষী। কিন্তু তাতেও হাবভাবের কোনও পরিবর্তন নেই, এই বারান্দা থেকে লাফিয়ে অন্য এক রেলিংয়ে পা তুলে, লেজ ঝুলিয়ে রিলেক্স মেজাজে ‘রামভক্ত হনুমান’।
ভাগ্যিস মানুষের মতো কথা বলতে পারেনা এই ‘রামভক্ত’। যদি কথা বলতে পারতো তবেই ‘কাম সারসে’। নবান্নের ১৩ তলায় রামভক্তের লম্পো-ঝম্পো। আর ১৪ তলায় স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী দফতর। ১৩ তলা থেকে এই ভক্তের রাম ভক্তি শুনতে পেলে, বর্তমান কলি যুগে ফের ‘কুরুক্ষেত্র’ হওয়ার সম্ভবনা কিন্তু কম ছিলনা।
সে যাই হোক, ‘কুরুক্ষেত্র’ ১৩ তলা তেই খ্যান্ত। ১৪ তলা পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি। যদিও পায়ে চোটের কারণে বেশ কিছু দিন ধরেই নবান্নে আসছেন না মুখ্যমন্ত্রী। তবে অফিস ওয়ার্কের মাঝে সরকারি কর্মচারীদের বেশ ভালোই মনোরঞ্জন করেছে ‘বাজরাঙ্গি’। তাকে দেখতে ভিড় সরকারি কর্মীদের। এমনকি ক্যামেরায় ছবি, ভিডিয়োও তুলেছেন অনেকে। তবে অনেক চেষ্টা করেও নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে ধরা দেয়নি ‘বাজরাঙ্গি’। নিরাপত্তারক্ষীর চোখরাঙানিকে পরোয়াই করেনি। ইভিএম নিউজ