দক্ষিণেশ্বরে

ব্যুরো নিউজ, ১৬ জানুয়ারি: দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক ভাঙা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া প্রতিক্রিয়া 

শুধু দক্ষিণেশ্বরই নয়, আলিপুর বডিগার্ড লাইনসেও মেট্রোর সঙ্গে জমি সংক্রান্ত ইস্যুতে বারবার দ্বন্দে জড়িয়েছে রাজ্য। আর এবার আবার রেলের সাথে হওয়া সেই দ্বন্দ প্রকাশ্যে আসলো। জানা গিয়েছে, মেট্রোর বাকি কাজ সম্পন্ন করতে দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক ভাঙার জন্য রাজ্যের কাছে আবেদন জানিয়েছে রেল। আর তাঁদের করা সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে বসে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ‘আমার রক্ত থাকতে, আমি দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক ভাঙতে দেব না’। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ৮-১০টি বৈঠক করে অনেক কষ্ট করে তাঁর সরকার এই স্কাইওয়াক বানিয়েছে। ওই এলাকায় অনেক হকার ছিলেন। তাঁদের সকলকে বুঝিয়ে, বিকল্প ব্যবস্থা করে তারপর এই স্কাইওয়াক তৈরি করা হয়েছে।

৩ পয়েন্ট নিয়ে ফিরল বাংলা

তিনি বলেন, এই স্কাইওয়াক আমার হৃদয়ের একটা মণি-মুক্তোর মতো’। কড়া ভাষায় আক্রমণ করে তিনি বললেন, ‘এদের সাহস দেখে আমি অবাক হয়ে যাই। হাত দিচ্ছে কোথায়! দক্ষিণেশ্বরে’। মুখ্যমন্ত্রী এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সাফ জানিয়ে দিলেন, “সরকার বডি গার্ড লাইনসও ভাঙতে দেবে না”। তবে মুখ্যমন্ত্রী এও জানালেন, মেট্রো বা রেলের থেকে যদি তাঁর থেকে বিকল্প রুটের বিষয়ে পরামর্শ চাওয়া হয়, সেই বিষয়ে তিনি সাহায্য করবেন। বললেন, ‘আমাকে যদি বলে, রুট বানিয়ে দিতে। আমি রুট বানিয়ে দেব। কিন্তু এগুলিতে আমি হাত দিতে দেব না’।

মুখ্যমন্ত্রী রেলমন্ত্রী থাকাকালীন কী কী কাজ করেছেন, সেই খতিয়ানও তিনি তুলে ধরেন। বললেন, ‘মেট্রো রেলের যত প্রজেক্ট, প্রত্যেকটা আমার করা। দক্ষিণেশ্বর-নোয়াপাড়া আমি উদ্বোধন করে এসেছিলাম। নোয়াপাড়া-দমদম আমার করা’। তিনি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন যেভাবে গোটা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করেছেন, সেই কথাও তিনি বৈঠকে তুলে ধরেন। জানালেন, তিনি না থাকলে দিল্লি মেট্রোও হত না।

তাঁর কড়া নির্দেশ, যেটা সহযোগিতা করার মতো, তেমন কিছু চাইলে সরকার সব সময় হাত বাড়িয়ে দেবে। কিন্তু যদি দীর্ঘদিনের মূল্যবান হেরিটেজ ভেঙে ফেলার চেষ্টা হয়, সেটা আমি করতে দেব না। দক্ষিণেশ্বর আজকের নয়। দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াকে হাত দিতে হলে, বিবেকানন্দ-রামকৃষ্ণের কথা মনে করতে হবে। তাই তা আমি কিছুতেই ভাঙতে দেবো না’। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর