ব্যুরো নিউজ, ৩ অক্টোবর: মেলেনি 'আবাস' গাছতলাতেই বসবাসএকদিকে বাঁকুড়ায় যেখানে আবাসের পাকা বাড়ি না মেলায় মাটির দেওয়াল চাপা পড়েই মৃত্যু ৩ শিশুর। অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় 'আবাস বাড়ি' না পেয়ে গাছতলাতেই দিনগুজরান করছেন সুখী সিংয়ের পরিবার। বিচারপতির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ| ডিভিশন বেঞ্চে অভিষেক প্রায় ২০ বছর ধরে গাছতলাতেই ঘরকন্যা। গাছেরতলায় ত্রিপল টানিয়েই দিনগুজরান করছেন বছর পঁয়ষট্টির সন্ন্যাসী সিং ও তাঁর স্ত্রী সুখী। বংশ পরম্পরায় সরকারি খাস জায়গায় বাস সন্ন্যাসীর পরিবারের। সন্ন্যাসীর নামে ওই জায়গার সরকারি পাট্টাও রয়েছে বলে দাবি।
বাম আমলে একটি সংস্থা সন্ন্যাসীদের অ্যাসবেস্টরের ছাউনি দেওয়া একটি বাড়ি তৈরি করে দেয়। বছর কুড়ি আগে এক ঝড়ে সেই বাড়িটি পড়ে যায়। টাকার অভাবে আর বাড়ি তৈরি করতে পারেননি সুখীরা। এরপর ২০ বছর ধরে সরকার এলো সরকার গেল, তবু সুখীদের মিললোনা মাথা গোজার ছাঁদ টুকু। তাঁদের অভিযোগ, "বাড়ি তৈরির জন্য সরকারি ভাবে তাঁরা আবেদন করলেও মেলেনি বাড়ি। বাধ্য হয়ে ছেলে বউকে নিয়ে গাছতলাতেই দিন কাটাতে হচ্ছে"।
কয়েক বছর ধরে দুরারোগ্যে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পরেন সন্ন্যাসী। গত ১০ বছর মাইশোরা ছিল তৃণমূলের দখলে। এবছর ক্ষমতায় আসে বিজেপি। এই প্রসঙ্গে পঞ্চায়েতের সদস্য বলেন, "সুখীদের নাম আবাসের তালিকায় থাকলেও, তারা বন্ডের সময় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দিতে পারেননি। তাই তারা বাড়ি তৈরির টাকা পাননি’’। তবে সন্ন্যাসী সিং জানিয়েছেন, তিনি নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই বার্ধক্য ভাতার টাকা পান। এই ঘটনায় বিজেপির অরুণ কিশোর পাল বলেন, ‘‘তৃণমূলের বহু নেতা পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবাসের টাকা পেয়েছেন। তৃণমূল আবাস যোজনায় এত দুর্নীতি করেছে তার ফলে প্রকৃত উপভোক্তারা বঞ্চিত হয়েছে’’। ২০ বছর ধরে গাছতলায় কাটিয়ে দেওয়ার পর আজও সুখীদের স্বপ্ন 'আবাস বাড়ি'। কবে মিলবে স্বপ্নের আবাস? সেইদিকে তাকিয়েই সুখীরা। ইভিএম নিউজ


একদিকে বাঁকুড়ায় যেখানে আবাসের পাকা বাড়ি না মেলায় মাটির দেওয়াল চাপা পড়েই মৃত্যু ৩ শিশুর। অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় 'আবাস বাড়ি' না পেয়ে গাছতলাতেই দিনগুজরান করছেন সুখী সিংয়ের পরিবার।
বাম আমলে একটি সংস্থা সন্ন্যাসীদের অ্যাসবেস্টরের ছাউনি দেওয়া একটি বাড়ি তৈরি করে দেয়। বছর কুড়ি আগে এক ঝড়ে সেই বাড়িটি পড়ে যায়। টাকার অভাবে আর বাড়ি তৈরি করতে পারেননি সুখীরা। এরপর ২০ বছর ধরে সরকার এলো সরকার গেল, তবু সুখীদের মিললোনা মাথা গোজার ছাঁদ টুকু। তাঁদের অভিযোগ, "বাড়ি তৈরির জন্য সরকারি ভাবে তাঁরা আবেদন করলেও মেলেনি বাড়ি। বাধ্য হয়ে ছেলে বউকে নিয়ে গাছতলাতেই দিন কাটাতে হচ্ছে"।
কয়েক বছর ধরে দুরারোগ্যে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পরেন সন্ন্যাসী। গত ১০ বছর মাইশোরা ছিল তৃণমূলের দখলে। এবছর ক্ষমতায় আসে বিজেপি। এই প্রসঙ্গে পঞ্চায়েতের সদস্য বলেন, "সুখীদের নাম আবাসের তালিকায় থাকলেও, তারা বন্ডের সময় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দিতে পারেননি। তাই তারা বাড়ি তৈরির টাকা পাননি’’। তবে সন্ন্যাসী সিং জানিয়েছেন, তিনি নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই বার্ধক্য ভাতার টাকা পান।
এই ঘটনায় বিজেপির অরুণ কিশোর পাল বলেন, ‘‘তৃণমূলের বহু নেতা পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবাসের টাকা পেয়েছেন। তৃণমূল আবাস যোজনায় এত দুর্নীতি করেছে তার ফলে প্রকৃত উপভোক্তারা বঞ্চিত হয়েছে’’।
২০ বছর ধরে গাছতলায় কাটিয়ে দেওয়ার পর আজও সুখীদের স্বপ্ন 'আবাস বাড়ি'। কবে মিলবে স্বপ্নের আবাস? সেইদিকে তাকিয়েই সুখীরা। ইভিএম নিউজ















