রাজীব ঘোষ, ২১ অক্টোবর: ময়দানে রাজ্যপাল, পুজোয় ঘোষণা সেরা বাঙালিয়ানা পুরষ্কারের
দুই পা এগিয়ে এক পা পিছনো- এই স্ট্র্যাটেজিতেই চলছেন তিনি। কখনো সংঘাত, আবার কখনো বন্ধুত্ব। ব্যালান্সের খেলায় যাতে পা পিছলে না যায়, সেদিকেও তার নজর। বাংলায় দায়িত্ব নিয়ে রাজভবনে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই সখ্যতা গড়ে ওঠে শাসক তৃণমূলের সঙ্গে। বাংলা শেখার আগ্রহ প্রকাশ থেকে শুরু করে বাংলার সরকারের প্রশংসা, আর তার ফলে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। পরমুহূর্তেই বদল। শুরু হয় বাংলার সরকারের বিভিন্ন কাজের সমালোচনা। বন্ধুত্ব
সম্প্রতি তৃণমূল সাংসদ অভিষেকের ধরনা কর্মসূচি নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহলে রাজ্যপালের ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, কিভাবে ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও সেই এলাকায় ধরনা কর্মসূচি হতে পারে? মনে হয়েছিল এই বিষয়ে বোধহয় তিনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেবেন। না, আবার পরমুহূর্তেই বদল। অভিষেকসহ ধরণা কর্মসূচিতে তৃণমূল নেতৃত্বের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রাজভবনে সাক্ষাতের পর কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে তিনি আলোচনা করবেন বলে জানান। উড়ে যান দিল্লির উদ্দেশ্যে। দিন কয়েক আগেই রাজ্যের মন্ত্রী ও বিধায়কদের এক লপ্তে প্রায় ৪০ হাজার টাকা বেতন বৃদ্ধির বিল অনুমোদনের জন্য রাজ্যপাল আনন্দ বোসের কাছে পাঠানো হলে রাজভবন সবুজ সংকেত দেয়নি।
কিভাবে ঠাকুর দেখবেন? এবার পথ দেখাচ্ছে কলকাতা পুলিশ
জরুরিভাবে পুজোর মুখে একদিনের বিধানসভার অধিবেশন ডাকা হলেও বিষয়টি নিয়ে আর আলোচনা হয়নি। পরক্ষণেই দেখা গেল বিলে অনুমোদন দিলেন। অর্থাৎ প্রথমে সংঘাত, পরক্ষণই বন্ধুত্ব। সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী নবান্ন- রাজভবন সুসম্পর্ক থাকলে রাজ্যবাসী উপকৃত হবেন। যদিও আলোচনা- সমালোচনা দুইই চলতে থাকবে। এটাই গণতন্ত্র। সে যাই হোক, এবার আবার ময়দানে রাজ্যপাল আনন্দ বোস। এবার একেবারে নবান্নকে টক্কর দিয়ে রাজভবনের তরফে বাংলার সেরা দুর্গাপুজো মন্ডপকে সেরা বাঙালিয়ানা পুরস্কার দেবেন রাজ্যপাল। ওই পুজো কমিটিকে দশমীতে পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। তবে রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, এই পুরস্কার দেওয়ার জন্য কোনো সরকারি টাকা খরচ করা হবে না।
রাজভবনের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে নোটিশ জারি করে জানানো হয়েছে, পুজোয় বাংলার সেরা পুজো কমিটিকে বাঙালিয়ানা পুরস্কার দেওয়া হবে। সাধারণ মানুষই বেছে নেবেন সেরা পুজো কোনটি? রাজভবনের তরফে সেই কারণে একটি মেইল আইডি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতেই আগ্রহী পুজো কমিটির সদস্যরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন। সেই মেল আইডিটি হল: aamnesaamne.rajbhavankolkata@gmail.com। তবে এর আগেই বাংলার দুর্গাপুজো কমিটিগুলোকে রাজভবনের তরফে সম্মান প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ইতিমধ্যেই দুর্গাপুজোয় প্রতিমা দেখতে বেরিয়েছিলেন। একাধিক মন্ডপে ঘুরেছেন রাজ্যপাল। আর বেরিয়েও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন তিনি। বাংলায় দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বাঙালির সঙ্গে একাত্ম হয়ে উঠেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ইভিএম নিউজ