ব্যুরো নিউজ, ১৯ ডিসেম্বর: ভয় বাড়াচ্ছে কোভিড! করোনায় ১ দিনে ৫ জনের মৃত্যু
ভয় বাড়াচ্ছে করোনার নয়া প্রজাতি। বর্ষবরণের মুখে দেশে ফের করোনা সংক্রমনে মৃত্যু। ১ দিনে প্রাণ গেল ৫ জনের। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলিকে সাবধান করল কেন্দ্র।
ফের করোনা ‘আতঙ্ক’! উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ভাইরাসের নয়া প্রজাতি
শুধু ভারত নয়, বিশ্বজুড়ে করোনার প্রকোপ বাড়ছে। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি দেশে সতর্কবার্তা জারি করেছে হু। সিঙ্গাপুর-সহ নানা দেশেই কোভিডের দাপট বাড়ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাই বড়দিনের সময় উৎসবের মরশুমে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে সাধারণ মানুষকে। শুধু কোভিড নয়, ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগ থেকেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছে হু। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলিকে সতর্কতামূলক নোটিশ পাঠিয়েছে কেন্দ্র। নোটিশে বলা হয়েছে, করোনার নজরদারিতে কোনরকম ঢিলেমি নয়। তাতে বিপদ বাড়তে পারে। রবিবার পাঁচজন আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে দেশে। তার মধ্যে চারজন কেরলের। অন্য এক জন কোভিড আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। সোমবার কেরলে আরও ১ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে পাশাপাশি তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লির এক বাসিন্দার দেহে করোনার নয়া প্রজাতি JN.1-এর হদিশ মিলেছে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি গত অক্টোবরে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন। সিঙ্গাপুর থেকেই ওই ব্যক্তির দেহে করোনার নয়া প্রজাতির প্রবেশ হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৬০ জন। মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮২৮ জন। আইএমএ-র কোভিড টাস্ক-ফোর্সের চেয়ারম্যান রাজীব জয়াদেবান জানান, আগে যাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এবং ভ্যাকসিন নেওয়া রয়েছে, তাঁদের মধ্যেও সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম করোনার নয়া ভ্যারিয়ান্ট JN.1। এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বাড়ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যগুলিকে কোভিড-সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্র। এমনকি প্রবীণ নাগরিকদের মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে কর্ণাটকের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, "আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। আমরা গতকাল একটি বৈঠক করেছি যেখানে আমরা কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা শীঘ্রই একটি পরামর্শ জারি করব। যাদের বয়স 60 বছরের বেশি এবং যাদের হার্টের সমস্যা আছে এবং কমরবিডিটি আছে তাদের অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।”
“আমরা সরকারি হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত থাকতে বলেছি। কেরালার সাথে সীমান্ত ভাগ করে নেওয়া অঞ্চলগুলিকে আরও সতর্ক হতে হবে। ম্যাঙ্গালোর, চমনাজনগর এবং কোডাগুকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। পরীক্ষা বাড়ানো হবে। যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তাদের বাধ্যতামূলকভাবে পরীক্ষা করাতে হবে,” এমনটাই জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী দীনেশ গুন্ডু রাও। ইভিএম নিউজ