ব্যুরো নিউজ, ১৫ ফেব্রুয়ারি: দেখতে ঠিক কদম ফুলের মত। আবার নামের সঙ্গেও কদম যোগ। আর এই মিষ্টি তৈরি করা হয় পোস্ত দিয়ে। খেতেও অতুলনীয়। একবার খেলে সেই স্বাদ লেগে থাকবে মুখে। আর এই কথা শুনে এই মিষ্টি চেখে দেখার ইচ্ছাটাও যেনও দিগুন হয়ে গেল, তাইনা? তবে এখন মনে একটাই প্রশ্ন এই মিষ্টির নাম কি? আর কোথায়ই বা পাওয়া যায় এই মিষ্টি?
ফুল ভেবে খাই মিষ্টি
সরস্বতী পুজোর আগে কুল খাই না কেন? জেনে নিন পুরাণ মতে এর ব্যখ্যা
মালদার বিখ্যাত এই মিষ্টি হল রসকদম। আর পাঁচটা মিষ্টির থেকে এই মিষ্টির স্বাদ সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ একটি মিষ্টির মধ্যেই রয়েছে তিন রকম মিষ্টির স্বাদ। রসগোল্লা, ক্ষীর ও চিনি একটির মধ্যেই তিন মিষ্টির আলাদা আলাদা স্বাদ পাওয়া যায় রসকদমেই। আবার সাথে রয়েছে পস্তোও। তাই রসকদমে ‘না’ বলার মানুষ খুবই কম। তাই রাজ্যতো বটেই, দেশজুড়েও এই রসকদমের চাহিদাও প্রচুর।
মিষ্টিপ্রেমীরা মালদার এই মিষ্টি কিনে নিয়ে যান অন্যান্য রাজ্যেও। কারন শুকনো এই মিষ্টি কম-বেশি এক সপ্তাহ রেখেও খাওয়া যায়। ১০, ১২, ২০ যার যেমন পছন্দ বা ইচ্ছা তারা সেই আকার ও দামের মিষ্টি নিয়ে থাকেন।
তবে এই মিষ্টি তৈরির পদ্ধতিও একটু অন্যরকম। প্রথমে তৈরী করা হয় ছানার রসগোল্লা। তবে এই রসগোল্লার আকার অনেকটাই ছোট। একদিন রসে ডুবিয়ে রাখা হয় ওই মিনি রসগোল্লাগুলি। তারপর তৈরি করা হয় ক্ষীর ও চিনির পাক। তারপর ছোট্ট রসগোল্লাগুলির ওপর জরানো হয় ওই ক্ষীরের মোটা আস্তরণ। এবার তার উপরে দেওয়া হয় পোস্ত। বিশেষ পদ্ধতিতে পোস্তর উপর দেওয়া হয় চিনির আস্তরণ। আবার এখন অনেকেই সরাসরি পোস্তর দানা উপরে দিয়ে থাকে। আর এই ভাবেই তৈরি হয় রসকদম। পোস্তর দানা উপরে থাকায় দেখতে কদম ফুলের মত লাগে এই মিষ্টিকে। তাই মিষ্টি ও রসেভরা এই মিষ্টিকে রসকদম ছাড়া আর কি নামেই বা ডাকা যায়?
পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলায় রয়েছে বিশেষ বিশেষ মিষ্টি। তাই মালদা জেলার রসকদমও রয়েছে সেই তালিকায়। তাই রসকদম খেতে হলে আপনাকে আসতেই হবে মালদায়। কিন্তু আমার এই কথাটা শোনার পর অনেকেই বলতে পারেন। না জেনে জ্ঞ্যান দিয়েই আপনারা খালাস। আমাদের কাছের মিষ্টান্ন ভাণ্ডারেই পাওয়া যায় ইয়া বড় বড় রসকদম। তাই রসকদম খেতে অহেতুক জার্নি করে মালদা যাব কেন বাপু?