ব্যুরো নিউজ, ৯ অক্টোবর: পুজোর থিমে নয়া চমক
বাংলার দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলগুলি থিমের জন্যে বিখ্যাত। প্রতিবছর দুর্গাপুজো পশ্চিমবঙ্গের পুজো প্যান্ডেলগুলির জন্য থিম তৈরি করার ক্ষেত্রে সৃজনশীলতা ও শিল্পের ক্ষেত্রে সেরাটি নিয়ে আসে। সেই ধারা বজায় রেখে কলকাতার ইয়াং বয়েজ ক্লাবের সদস্যরা এ বছর সামাজিক সমস্যাগুলিকে থিম হিসেবে ব্যবহার করার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে। ইয়ং বয়েজ ক্লাবের দুর্গাপুজোটি মধ্য কলকাতার তারাচাঁদ দত্ত স্ট্রিটের কাছে অবস্থিত যা সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউকে রবীন্দ্র সরণির সাথে সংযুক্ত করে। এই পুজো মধ্যে কলকাতার একটি অন্যতম আকর্ষণ। ইয়াং বয়েজ ক্লাবের দুর্গাপুজো এ বছর ৫৪ তম বছরে পদার্পণ করলো। ৫৪ বছর পূর্ণ করার বর্ষে বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতির সাথে সম্পর্কিত একটি থিম নিয়ে এসেছে তাঁরা। তাঁদের এ বছরের থিম হল, “দেবী দুর্গা-মহাবিশ্বের শক্তি”।
২৫০ বছরে ঐতিহ্যবাহী জোয়াদ্দার বাড়ির দুর্গাপুজো
হিন্দু পুরান মতে, দেবী দুর্গাকে সবচেয়ে শক্তিশালী হিসাবে বিবেচনা করা হয়। দুর্গার পরাক্রম তাঁর ১০টি হাতে বিভিন্ন অস্ত্রকে সূচিত করে। যা ধারণ করে তাঁকে বিভিন্ন শক্তির প্রতীক হিসাবে চিত্রিত করা হয়েছে। দেবী দুর্গার রূপ ভক্তদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়। দেবী দুর্গা অসুরদের প্রতি হিংস্র ও একই সাথে তার ভক্তদের জন্য কল্যাণময়। দেবীর দশটি হাতের প্রতীক এই অর্থ বহন করে, যে তিনি তাঁর ভক্তদের সমস্ত দিক থেকে থেকে রক্ষা করেন।
মিডিয়ার সাথে কথা বলার সময় প্রধান সংগঠক মিঃ রাকেশ সিং বলেন, “এই বছর, ইয়াং বয়েজ ক্লাব দেবী দুর্গার ঐশ্বরিক শক্তির প্রতিলিপি তৈরি করছে। যেখানে ৩২ ফুট মা দুর্গা বাইরে স্থাপন করা হবে, যা তাঁকে বিশ্ব শক্তির উৎসের প্রতীক হিসেবে প্রদর্শন করবে। বিশ্বশক্তির সাথে দেবীর সম্পর্ক বোঝাতে, মূর্তিটির দশ হাতে থাকবে দশটি গ্লোব, যা পৃথিবীর দশ দিকের প্রতীক”। “দর্শকেরা প্যান্ডেলের ভিতরে ঝিনুকের সাথে সুন্দর কাজ দেখতে পাবেন। ভেতরে প্রতিমার পাশাপাশিও ঝিনুকের কাজ তৈরি হচ্ছে। গত ৪ মাস ধরে প্যান্ডেলের প্রস্তুতি চলছে। আমাদের প্যান্ডেলের বাইরে ভারতের চন্দ্রজয় কে স্মরণীয় করে রাখতে একটি অতিরিক্ত আকর্ষণ, চন্দ্রযান-৩ এর একটি মডেল স্থাপন করা হবে।” জানালেন ইয়ং বয়েজ ক্লাবের যুব সভাপতি মিঃ বিক্রান্ত সিং।
দেবী দুর্গার প্রতিকৃতি প্রতিটি পরিস্থিতিতে মানুষের জীবনে কীভাবে আচরণ করা উচিত তার ব্যাখ্যা। তাঁর হাতে ১০টি গ্লোবের উপস্থিতি আমাদের জীবনের পথ চলতে শেখায়। যেখানে এটি বার্তা দেয় যে বিশ্ব এক–“বসুধৈব কুটুম্বকম”। এটি একটি সংস্কৃত বাক্যাংশ যা মহা উপনিষদের মতো হিন্দু গ্রন্থে পাওয়া যায়। যার অর্থ “বিশ্ব এক পরিবার”। জ্ঞান থেকে জাগে প্রজ্ঞা, প্রেম ও আনুগত্য। তিনি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁর উদার সহায়তা প্রদান করেন। দুর্গাপূজা উদযাপন শুধুমাত্র দেবী দুর্গার বিশাল স্টল এবং মূর্তিগুলির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। জীবনে চলার পথে তিনি যে পথ অনুসরণ করার প্রেরণা দেন তাকে বুঝতে ও বাস্তবায়িত করতে হবে। ইভিএম নিউজ
