দুই

ব্যুরো নিউজ, ১১ ডিসেম্বর: কলকাতায় দুই ব্যাক্তির মরণোত্তর অঙ্গদান 

শনিবার এসএসকেএম ও অ্যাপোলো হাসপাতালে দুই ব্যাক্তির মরণোত্তর অঙ্গদান করা হয়েছে। যে ৭ জনের শরীরে অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে এক জন ভিন রাজ্যের অধিবাসী। ব্রেন ডেথের পরে দুই ব্যাক্তির জোড়া অঙ্গদানে নতুন জীবন ফিরে পেলেন মোট ৭ জন রোগী। চিকিৎসকদের কথায়, “এমন ভাবে সকলে মরণোত্তর অঙ্গদান সম্পর্কে সচেতন হলে অনেক রোগী নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখতে পারবেন”। শুক্রবারও একইভাবে এক প্রৌঢ়ার মরণোত্তর অঙ্গদান করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, ৩ ডিসেম্বর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন বরাহনগরের বছর ৩৫ এর তারক দত্ত। তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছিল। ৮ ডিসেম্বর তাঁকে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শেষরক্ষা হয়নি। সেই রাতেই তাঁর ব্রেন ডেথ ঘোষণা করা হয়। পরিজনেরা সম্মতি দিলে রোটোর মাধ্যমে গ্রহীতার সন্ধান মেলে। তারকের কিডনি পেয়েছে আর এন টেগোর ও আলিপুর কমান্ড হাসপাতাল, যকৃৎ প্রতিস্থাপন হয় অ্যাপোলোয় চিকিৎসাধীন রোগীর শরীরে বলে জানা গিয়েছে।

জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতের সংবিধানই চলবে : সুপ্রিম কোর্ট

অন্য দিকে, নন্দীগ্রামের টাকাপুরার বাসিন্দা, পেশায় পার্শ্বশিক্ষক বছর ৩৮ এর শ্যামসুন্দর দাস স্কুল ছুটির পরে মোটরবাইক নিয়ে বেরিয়েছিলেন। তখন ওই গ্রামেরই বাসিন্দা এক ব্যক্তি বাইকে করে এসে ধাক্কা মারেন শ্যামসুন্দরকে। ছিটকে পড়ে তিনি মাথায় গুরুতর চোট পান। তাঁকে সেখান থেকে উদ্ধার করে প্রথমে নন্দীগ্রামের স্থানীয় হাসপাতালে ও পরে এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ারে স্থানান্তরিত করা হয়। ওই দিনই এসএসকেএমের রেড জ়োনে ভর্তি করা হয় শ্যামসুন্দরকে।

সূত্রের খবর, ৮ ডিসেম্বর সকালে চিকিৎসকেরা বুঝতে পারেন, ওই ব্যাক্তির ব্রেন ডেথ হয়েছে। তখন থেকে শুরু হয় মরণোত্তর অঙ্গদান নিয়ে পরিজনদের বোঝানোর পালা। সন্ধ্যায় ব্রেন ডেথ ঘোষণার পরে পরিজনদের সম্মতি পেয়ে ‘রিজিওনাল অর্গান অ্যান্ড টিসু ট্রান্সপ্লান্ট অর্গানাইজ়েশন’ বা রোটোর মাধ্যমে শুরু হয় গ্রহীতার খোঁজ। দুপুর থেকে শুরু হয় অঙ্গ সংগ্রহের কাজ। শ্যামসুন্দরের ফুসফুস গিয়েছে গুরুগ্রামের মেদান্তা হাসপাতালে, কিডনি পেয়েছেন চার্নক ও আলিপুর কমান্ড হাসপাতালের দুই রোগী, যকৃৎ পেয়েছেন এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন এক রোগী। ইভিএম নিউজ 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর