ব্যুরো নিউজ,১৬ ডিসেম্বর:ভারতীয় সংগীত জগতের এক অবিস্মরণীয় নাম উস্তাদ জাকির হুসেন। তবলার মায়েস্ত্রো জাকির হুসেন তাঁর সুরের জাদু দিয়ে বিশ্বকে মোহিত করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর একটি হাসপাতালে ইডিওপ্যাথিক পালমোনারি ফাইব্রোসিস থেকে সৃষ্ট জটিলতার কারণে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর সংগীতযাত্রার কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত এবং কৃতিত্ব স্মরণীয় হয়ে থাকবে চিরকাল।
পিভি সিন্ধু বাগ্দান সারলেন বেঙ্কট দত্ত সাইয়ের সঙ্গে, কোথায় বসবে বিয়ের আসর?
সংগীত জীবনের বিশেষ মুহূর্ত
জাকির হুসেনের সঙ্গে একাধিক সংগীতশিল্পীর যুগলবন্দি হয়েছে যা তাঁকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। এ আর রহমানের একটি ট্যুরের সময় ব্যাকস্টেজে গায়িকা সাধনা সরগমের সঙ্গে তোলা তাঁর ছবি শিল্পীজীবনের একটি অমূল্য মুহূর্ত।তিনি বহুবার পারফর্ম করেছেন কিংবদন্তি শিল্পীদের সঙ্গে। যেমন, মুম্বাইয়ের সন্মুখানন্দ হলে ম্যান্ডোলিনের জাদুকর ইউ শ্রীনিবাস ও গায়ক শঙ্কর মহাদেবনের সঙ্গে তাঁর যুগলবন্দি আজও সংগীতপ্রেমীদের মনে গেঁথে আছে।শিল্পীজীবনের বাইরেও তাঁর উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। একবার থিয়েটার ব্যক্তিত্ব শশী কাপুর, নাফিসা আলি এবং রণধীর কাপুরের সঙ্গে মুম্বাইয়ের জুহুতে একটি নাটকে অংশ নেন। অন্যদিকে, ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকারের সঙ্গে যুগলবন্দির ভিডিও একসময় ভাইরাল হয়েছিল।উস্তাদ জাকির হুসেন তাঁর জীবনে সেরা গ্লোবাল মিউজিক অ্যালবামের গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জিতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। সেই উপলক্ষে শঙ্কর মহাদেবন, পার্কিউশনিস্ট ভি সেলভাগণেশ এবং বেহালাবাদক গণেশ রাজাগোপালনের সঙ্গে তাঁর ছবিটি চিরস্মরণীয়।
সপ্তাহজুড়ে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি নেই, বাড়বে রাতের তাপমাত্রা
জাকির হুসেন ১৯৮৮ সালে পদ্মশ্রী, ২০০২ সালে পদ্মভূষণ এবং ২০২৩ সালে পদ্মবিভূষণ সম্মান লাভ করেন। আহমেদাবাদে তাঁর পিতা, উস্তাদ আল্লা রাখার ১০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন যা সংগীত জগতের জন্য এক অনন্য স্মৃতি।জীবনের শেষ সময়েও তিনি এ আর রহমান এবং শঙ্কর মহাদেবনের সঙ্গে সেলফি তুলে স্মৃতি ধরে রেখেছিলেন।তবলার জাদুকর জাকির হুসেন তাঁর সুর এবং সংগীতের মাধ্যমে শুধু ভারত নয়, বিশ্বজুড়ে কোটি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন।