ব্যুরো নিউজ,৩ অক্টোবর:আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের দেহে কমপক্ষে ২৪টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই) সংবাদ মাধ্যমে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।সিবিআইয়ের কর্মকর্তাদের মতে, গণপিটুনির সময় মারধরের ফলে শরীরে যে ধরনের অসংখ্য ক্ষতচিহ্ন তৈরি হয়, সেরকমই আঘাতের চিহ্ন ধরা পড়েছে নির্যাতিতার দেহে।
টেস্ট বোলিং র্যাঙ্কিয়ে বড় পরিবর্তনঃবুমরাহকে সমর্থন অশ্বিনের
একাধিক ফাঁকফোকর
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত এবং সুরতহাল (ইনকোয়েস্ট) রিপোর্টে একাধিক ফাঁকফোকর রয়েছে। এরকম ঘটনায় তদন্তের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো এখনও সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে যেসব তথ্যপ্রমাণ ইতোমধ্যেই মিলেছে, সেগুলোর ফরেন্সিক টেস্ট করা হয়েছে এবং সেগুলি খুঁটিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এই বিশ্লেষণের ভিত্তিতে অনুমান করা হচ্ছে, গণপিটুনির মতো মারধর করা হয়েছিল নির্যাতিতাকে।সিবিআইয়ের কর্মকর্তারা মনে করছেন, নির্যাতিতার শরীরে পাওয়া আঘাতের চিহ্নগুলো দেখে বঝা যায় যে, একজনের পক্ষে এই ধরনের নির্যাতন সম্ভব নয়। তদন্তকারীদের অভিযোগ, ময়নাতদন্ত এবং সুরতহালের রিপোর্টে কিছু গুরুতর আঘাতের বিষয়টি পুরোপুরি চেপে যাওয়া হয়েছে।
অথচ, সিবিআই আধিকারিকরা প্রাথমিকভাবে অনুমান করছেন যে তদন্তের নজর ঘোরানোর জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্ষণের বিষয়টি সামনে আনা হয়েছে। তাদের মতে, তরুণী চিকিৎসককে খুন করারই উদ্দেশ্য ছিল এবং ধর্ষণ ধোঁয়াশা সৃষ্টি করার জন্য করা হয়েছিল।এদিকে, বুধবার সিবিআইয়ের কর্মকর্তারা নির্যাতিতার বাবা এবং মায়ের সঙ্গে কথা বলতে তরুণী চিকিৎসকের বাড়িতে যান। সেখানেই তাদের থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হয় এবং প্রায় দেড় ঘণ্টা আলোচনা চলে। তদন্তে নতুন তথ্য আসা ও বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য সিবিআই ইতিমধ্যে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।