ব্যুরো নিউজ ১৭ অক্টোবর : বাঁকুড়ার রামকানালী গ্রামে প্রতি বছর লক্ষ্মীপুজোর সময় বিশেষভাবে গজলক্ষ্মীর পুজো করা হয়। এই পুজোর প্রথা শতাব্দী প্রাচীন, এবং এর পিছনে রয়েছে একটি চাঞ্চল্যকর ইতিহাস। এলাকার কৃষকরা গ্রামে চাষবাস করে থাকেন, কিন্তু হাতির দল প্রতিনিয়ত তাদের ফসল নষ্ট করে দেয়। ফলস্বরূপ, ফসলের ক্ষতি ও খাদ্যাভাব দেখা দেয়। একসময় এক সন্ন্যাসী এই সমস্যা সমাধানের জন্য গজলক্ষ্মীর পুজো করার পরামর্শ দেন, এবং তারপর থেকে এই প্রথা চালু হয়ে গেছে।
কেন দুর্গাপুজোর পর লক্ষ্মীপুজো হয়? জানুন কি বলছে শাস্ত্রমতে
৪০টি পরিবার নিয়ে প্রধানত এই পুজো
গ্রামে গজলক্ষ্মীর পুজো ব্যাপক আকারে পালিত হয়। মাহিষ্য পরিবারের ৪০টি পরিবারের প্রধান পুজো এটি। এখানে লক্ষ্মীর প্রতিমা হাতির পিঠে স্থাপন করা হয়, যা গজলক্ষী নামকরণে সহায়তা করে। গ্রামের বাসিন্দা কাজল দাস জানান, পূর্বপুরুষদের হাতে গড়া এই পুজো আজও সমান গুরুত্ব সহকারে পালন করা হচ্ছে। গজলক্ষ্মীর আরাধনার মাধ্যমে গ্রামবাসীরা বিশ্বাস করেন যে হাতির হামলা কমে যাবে এবং তারা ফসলের সুরক্ষা পাবেন।গ্রামে গজলক্ষ্মীর পুজো করার মাধ্যমে এলাকাবাসীরা গজরাজকে সন্তুষ্ট করতে চান, যাতে তারা ফসলের ক্ষতি থেকে রক্ষা পান। দুর্গাপুজোর পর এই সময়ে হাতিরা জঙ্গলে থেকে বেরিয়ে এসে ফসল খেয়ে নেয়, কিন্তু গজলক্ষ্মীর আরাধনার পর থেকে এই উৎপাত অনেকটা কমে গিয়েছে।
ভারতের কফি রফতানিতে ৫৫ শতাংশ বৃদ্ধি ছয় মাসে
গ্রামে গজলক্ষ্মীর পুজো একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক অনুষ্ঠান হয়ে উঠেছে, যা কৃষিজীবীদের জীবনে আশার আলো নিয়ে এসেছে। এই পুজোর মধ্য দিয়ে তাঁরা নিজেরা এবং তাঁদের ফসলের জন্য এক ধরনের নিরাপত্তা প্রার্থনা করেন।
