ব্যুরো নিউজ, ২৩ সেপ্টেম্বর :চারপাশের ঘটনাবলি নিয়ে একেবারে বিরক্ত লাগছে। সমাজে এমন সব কথা শোনা যাচ্ছে যা কখনও হাস্যকর, আবার কখনও রাগের জন্ম দেয়। সম্প্রতি, রাজ্যের এক মন্ত্রী মেয়ের মদ্যপানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তার দাবি, মহিলাদের রাতে মদ্যপান করা উচিত নয়, এবং তারপরেও রাস্তায় মদ্যপান হচ্ছে। তিনি নিজের বিধানসভা এলাকায় রাতে মেয়েদের মদ্যপানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। কিন্তু আমার প্রশ্ন, এভাবে কি মেয়েদের মদ্যপান আটকানো সম্ভব?
দীপিকা-রণবীরের নতুন অতিথি আসার আনন্দে দিন কাটছে ব্যস্ততায়
নারীদের মদ্যপানের উপর নিষেধাজ্ঞা
উটের দৌড়ে নারীর জয়গান, টেলর ডিজের কাহিনী
যখনই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়, তখনই লুকিয়ে করার প্রবণতা বেড়ে যায়। যে মেয়েরা এখন দোকানে গিয়ে মদ কিনছেন, তারা কি নিষেধাজ্ঞা জারি হলে মদ্যপান বন্ধ করবেন? বরং, তারা লুকিয়ে মদ্যপান শুরু করবেন। এটি ‘বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো’ মনে হচ্ছে।
মহিলা মদ্যপান বন্ধ করলেই কি নারীর নিরাপত্তায় উন্নতি ঘটবে? তা সম্ভব নয়। বর্তমান পরিস্থিতি দেখে মনে পড়ে, এক সময় ইসলামিক দেশগুলিতে একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। সেখানে কি মদ্যপান বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে? তাহলে আমাদের দেশে কেন?
আইএমএ নির্বাচন: শান্তনু সেনের সিদ্ধান্ত এবং উত্তপ্ত পরিস্থিতি
মেয়েদের কী করা উচিত বা উচিত নয়, সে বিষয়ে আলোচনা না করে আমাদের উচিত মানবতার দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি দেখা। স্বাধীনতা মানে মদ্যপান নয়—এটি শুধু মেয়েদের জন্য নয়, বরং সকলের জন্য প্রযোজ্য। প্রকাশ্যে রাস্তায় মদ্যপান কুরুচিকর এবং অন্যায়।
শালীনতার সংজ্ঞা নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই এক। আমাদের সকলকে মনে রাখতে হবে, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা যেন অন্যের জন্য সমস্যা সৃষ্টি না করে। প্রত্যেকের দায়িত্ব নিজেদের আচরণে সচেতন থাকা।