ব্যুরো নিউজ ১১ নভেম্বর :শীতের ছুটিতে একটু সময় পেলে ঘুরে আসুন। তাই এবারে যদি একটু ভিন্ন কিছু করতে চান তবে সমুদ্রের বদলে পাহাড় আর জঙ্গলে ঘেরা ওড়িশার সিমলিপাল হতে পারে আপনার আদর্শ গন্তব্য। পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব জায়গাই ঘুরে ফেলেছেন? তাহলে পাশের রাজ্য ওড়িশায় যাওয়া কেমন হবে? সিমলিপাল যে জায়গাটি প্রকৃতি, পাহাড় এবং বন্যপ্রাণী দেখতে ভালোবাসা মানুষদের জন্য এক চমৎকার সুযোগ।
শীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন এই লাভার্স পয়েন্ট থেকে। কাঞ্চনজঙ্ঘার কোলে এক অনন্য অভিজ্ঞতা
কি ভাবে যাবেন এই অপূর্ব স্থানটিতে?
ভুবনেশ্বর থেকে সিমলিপাল পৌঁছাতে গাড়ি বা ট্রেনের ব্যবস্থা থাকতে হবে। সড়কপথে ভ্রমণ করলে রাস্তা খুবই মনোরম এবং সময়ও খুব বেশি লাগে না।
জলপ্রপাতের ধারে চড়ুইভাতির নতুন ঠিকানা, কম খরচে ঘুরে আসুন ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি
ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার সিমলিপাল অভয়ারণ্য, শিমূল গাছের আধিক্যের জন্য এই নাম পেয়েছিল। ১৯৭৯ সালে এটি জাতীয় উদ্যান হিসেবে স্বীকৃত হয়। ১৯৮০ সালে এটি একটি ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পায়। এই অভয়ারণ্যে রয়েছে বাঘ, বুনো হাতি, চিতল হরিণ, বনবিড়াল, স্যাম্বার এবং বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। আপনি যদি প্রকৃতির মধ্যে শান্তিতে সময় কাটাতে চান, সিমলিপাল হতে পারে আপনার জন্য সেরা জায়গা।
সিমলিপালে পৌঁছালে আপনি বরহিপানি এবং ঝারান্দা জলপ্রপাতের আওয়াজ শুনতে পারবেন যা খুবই মনোরম। শীতে জলপ্রপাতের স্রোত কম থাকলেও বর্ষায় এর রূপ অপূর্ব। পাহাড়ের কোলে থাকার ব্যবস্থা করতে পারলে তো সিমলিপালের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আর কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।
জঙ্গলে প্রবেশের জন্য দুটি ভিন্ন পথ রয়েছে। চেষ্টা করুন দু’টি আলাদা পথে সাফারি করতে। বুড়িবালাম নদীর ধার দিয়ে হেঁটে ঘুরে আসাও একটি দারুণ অভিজ্ঞতা হতে পারে। পর্যটন কেন্দ্রের বনবাংলোতে থাকলে বেশ ভালো তবে এই মরসুমে ঘর পাওয়া কঠিন। এছাড়া অনেক বেসরকারি হোটেল এবং রিসোর্টও রয়েছে যেখানে আপনি থাকতে পারেন। তাহলে এইবার শীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন পাহাড় জঙ্গল ঘেরা সিমলিপাল থেকে।