মহাকুম্ভে ‘সুন্দরী সাধ্বী’ হর্ষার জটা রহস্য ফাঁস

ব্যুরো নিউজ,১৮ জানুয়ারি:মহাকুম্ভের শুরু থেকে সর্বাধিক আলোচিত ব্যক্তি হয়ে উঠেছেন সুন্দরী সাধ্বী হর্ষা। তার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরই নেটিজেনদের মধ্যে তাকে নিয়ে কৌতূহল বেড়ে যায়। অনেকেই তাঁর ব্যক্তিগত জীবন জানার জন্য তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট অনুসরণ করতে শুরু করেন। কিন্তু তার পরই একের পর এক চমকপ্রদ তথ্য সামনে আসতে থাকে, যা হর্ষার ব্যক্তিগত জীবন এবং তার সন্ন্যাসী জীবন নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেয়।৩০ বছর বয়সী হর্ষার সৌন্দর্য যেমন নজর কাড়ছে, তেমনি তার জীবনও মানুষের কৌতূহলের বিষয় হয়ে উঠেছে। দীর্ঘ টানা চোখ, এক ঢাল চুল, এবং দেহে বিভূতি, গলায় রুদ্রাক্ষের মালা—এসব দেখে অনেকেই তাকে ‘মহাকুম্ভের সবচেয়ে সুন্দরী সাধ্বী’ বলছেন। কিন্তু হর্ষার জীবন ও সন্ন্যাসী হওয়ার পেছনের গল্প শুনে অনেকেরই অবাক হওয়ার মতো অভিজ্ঞতা হয়েছে।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ভারতীয় ক্রিকেট দল ঘোষণা, নতুন মুখ যশস্বী জয়সওয়াল

কিভাবে ফাঁস?

হর্ষা রিছাড়িয়া নামে পরিচিত এই তরুণী আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী কৈলাশানন্দগিরিজি মহারাজের শিষ্যা। প্রায় দু’বছর আগে তিনি সন্ন্যাসী হয়েছেন। তবে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে গিয়ে দেখা যায় যে, তিনি একজন ইনফ্লুয়েন্সারও। হর্ষার ইনস্টাগ্রামে ‘অ্যাঙ্কর হর্ষা রিছাড়িয়া’ নামে একটি পরিচয় পাওয়া যায়, যা তার অন্য রূপের একটি চিত্র তুলে ধরে।মহাকুম্ভে এসে হর্ষা যখন নিজেকে সন্ন্যাসী হিসেবে উপস্থাপন করেন, তখন তার জটা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। প্রথমে সবার কাছে তার জটা ছিল এক রহস্য। কিন্তু কিছু পুরনো পোস্ট দেখে জানা যায়, তার জটা আসল নয়। হর্ষা নিজেও এটি অস্বীকার করেননি। মহাকুম্ভে আসার আগে তিনি একটি পার্লারে গিয়ে নকল জটা লাগিয়েছিলেন, এবং সেই সময়ের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।হর্ষা রিছাড়িয়া নিজে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন যে, তিনি বহুদিন ধরে সনাতন ধর্মে আগ্রহী ছিলেন এবং মহাকুম্ভের মাধ্যমে ঈশ্বরের আরাধনা করতে চেয়েছিলেন। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিক্রিয়া তাকে হতাশ করেছে। এই পরিস্থিতি দেখে তিনি মহাকুম্ভ থেকে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে তাঁর জটা লাগানোর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা রকম আলোচনা চলতে থাকে।

কোমর ও পিঠের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ উপায় হল এই আসন।অভ্যাস করুন আজ থেকেই

হর্ষার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর, তার সমালোচনা শুরু হয়। কেউ বলেন, “তিনি আসলেই সন্ন্যাসী নন, তাঁর আসল চেহারা ফাঁস হয়ে গেছে।” আবার অনেকেই সমর্থনও জানিয়েছেন। তাদের বক্তব্য, ‘‘যদি কেউ সংসার না ত্যাগ করেও ঈশ্বরের আরাধনা করতে চান, তবে তাতে কোনো দোষ নেই।’’ একজন নেটিজেন লিখেছেন, ‘‘অন্যের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এত কৌতূহল কেন? খেয়েদেয়ে কাজ নেই?’’ এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট হয় যে, সামাজিক মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এই ধরনের আলোচনা বেড়ে যাওয়াই আজকের যুগের একটি সাধারণ প্রবণতা। তবে, একে নিয়ে নানা ধরনের বিতর্ক, সমালোচনা এবং সমর্থন উঠে আসা নিঃসন্দেহে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর