ব্যুরো নিউজ, ২৮ এপিল: এবার কি ভারত থেকে চলে যাবে হোয়াটসঅ্যাপ? এখন কম বেশি সকলের মনে এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। হোয়াটস অ্যাপে end to end encryption লেখাটি দেখা যায়। আর এ নিয়েই উঠে আসছে একাধিক তথ্য। এ বিষয় দিল্লি হাইকোর্টে এক মামলার শুনানিতে মেটার আইনজীবী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন এন্ড টু এন্ড এঙ্ক্রিপশন প্রশ্নে কোনভাবেই আপোষে রাজি নয়। তার যুক্তি হোয়াটসঅ্যাপ মানুষ ব্যবহার করেন কারণ হোয়াটসঅ্যাপ মানুষের মেসেজের গোপনীয়তা বজায় রাখে। এমনকি মেটার আধিকারিকরাও জনসাধারণের সেই মেসেজ পড়তে পারেন না।উল্লেখ্য, ২০২১ এর হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ভুয়ো তথ্য ছড়িয়ে পড়া আটকাতে আইটি রুলে মেসেজের গোপনীয়তা প্রাচীর ভাঙার কথা বলা হয়। যাতে ভুও তথ্য কোন ব্যক্তির মাধ্যমে ছড়াচ্ছে তা চিহ্নিত করা সম্ভব হয়।
সন্দেশখালি আবহেই উঠে গেল আগ্নেয়াস্ত্র কেনার নিষেধাজ্ঞা! জার্মানি থেকেও কেনা যাবে অস্ত্র
এই নিয়ম লাগু হলে ভারত ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হবে হোয়াটসঅ্যা,১৪ আগস্ট দিল্লি হাইকোর্টে পরবর্তী শুনানি
রাজা-মহারাজাদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য! এবার রাহুলের বিরুদ্ধে সরব মোদী
প্রসঙ্গত, হোয়াটসঅ্যাপে এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন-এর মাধ্যমে ম্যাসেজের প্রেরক আর গ্রাহক ছাড়া মাঝের কোনো ব্যক্তি সেই মেসেজ পড়তে পারে না। কিন্তু ২০২১-এর কেন্দ্রীয় সরকার যে আইটি রুল তৈরি করে তাতে হোয়াটসঅ্যাপকে সেই এন্ড টু এনক্রিপশন তুলে দিতে বলা হয়। কারণ প্রয়োজনে তাতে ভুয়ো ভাইরাল তথ্যের উৎস সম্পর্কে অনুসন্ধান করা যাবে। দিল্লি হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মনমোহন এবং বিচারপতি মনমীৎ প্রীতম সিংহ অরোরার বেঞ্চে হোয়াট্সঅ্যাপের আইনজীবী জানান, যে পদ্ধতিতে তাঁরা গোপনীয়তা রক্ষা করেন, তা ভাঙা সম্ভব নয়। সেটা করতে গেলে মেসেজের একটি দীর্ঘ তালিকা প্রস্তুত করে দীর্ঘ সময়ের জন্য রেখে দিতে হবে। কারণ কখন কোন মেসেজ সংক্রান্ত তথ্য জানার প্রয়োজন হবে, তা আগে থেকে নির্ণয় করা যাবে না। এর ফলে লক্ষ লক্ষ মেসেজ বছরের পর বছর ধরে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। তাই এই নিয়ম লাগু হলে ভারত ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হবে হোয়াটসঅ্যাপ এমনটাও জানান মেটার আইনজীবী।
যদিও কেন্দ্রের আইনজীবী জানান, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে অনেক সময় অনেক ভুয়ো খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। যা জনসমাজে ক্ষতিকর। শুধু তাই নয় এই ভুয়া খবর অনেক সময় সাম্প্রদায়িক উস্কানিও দেয়। এমন কি কখনো কখনো দাঙ্গার পরিস্থিতিও সৃষ্টি করে।অন্যদিকে, এ বিষয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ, মানুষের গোপনীয়তা ও রাষ্ট্রীয় দখলদারির মধ্যে ভারসাম্য রাখা অনিবার্য। আগামী ১৪ আগস্ট দিল্লি হাইকোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।