ব্যুরো নিউজ, ২৩ নভেম্বর : নবান্ন থেকে কড়া বার্তা! রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনে বড়সড় রদবদল। বৃহস্পতিবার রাজ্য পুলিশের নিম্নস্তরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ‘কয়লা ও বালি পাচারের মতো বেআইনি কারবারে জড়িত পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর একাংশ। এই বিষয়টি আর সহ্য করব না।’ এর পরই জেলা এবং কলকাতা পুলিশে একাধিক বদলি ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
ডার্বির আগে মোহনবাগান সমর্থকদের জন্য সুখবর ! কি সেই সুখবর ?
পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী

কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা শুক্রবার পাঁচ ইন্সপেক্টরের বদলির নির্দেশ জারি করেছেন। মুচিপাড়া থানার দায়িত্বে এসেছেন গোয়েন্দা বিভাগের ইন্সপেক্টর সৌম্য ঠাকুর। ময়দান থানার অতিরিক্ত ওসি দীপঙ্কর বিশ্বাসকে পাঠানো হয়েছে লেদার কমপ্লেক্স থানায়। তার জায়গায় নতুন দায়িত্বে এসেছেন শেখ সাবিরউদ্দিন। লেদার কমপ্লেক্স থানায় অতিরিক্ত ওসির দায়িত্ব পেয়েছেন অনুপম চট্টোপাধ্যায়।বারাবনি থানার সাব-ইন্সপেক্টর মনোরঞ্জন মণ্ডলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা থানার আইসি পার্থ ঘোষকে কম্পালসারি ওয়েটিং-এ পাঠিয়ে ভবানী ভবনে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।নবান্নে পুলিশ প্রশাসনের একাংশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন ‘নিচুতলার কিছু পুলিশ কর্মকর্তা সরকারকে সহযোগিতা না করে নিজের স্বার্থের দিকে নজর দিচ্ছে। আমি এ ধরনের আচরণ বরদাস্ত করব না।’
আইপিএল ২০২৫ঃ নিলামের সময়সূচি পরিবর্তন, ঘোষিত হলো আগামী তিন বছরের সূচি
রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দিয়ে সিআইডি পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন ওয়েলফেয়ার কমিটির কনভেনর বিজিতশ্ব রাউত। মুখ্যমন্ত্রীও সিআইডি-কে আরও সক্রিয় ও দক্ষ করার ওপর জোর দিয়েছেন।মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পরই পুলিশ প্রশাসনে রদবদল কার্যকর হয়েছে। এটি প্রমাণ করে যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঠেকাতে সরকার আর কোনো ঢিলেমি বরদাস্ত করবে না।এই পদক্ষেপ পুলিশের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণে রাশ টানবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে সাধারণ মানুষের অভিযোগ পুলিশ প্রশাসনের এই অস্থিরতা তাদের দুর্ভোগ আরও বাড়াচ্ছে।