ব্যুরো নিউজ,২৮ নভেম্বর:পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় এই মুহূর্তে উত্তপ্ত পরিস্থিতি।সংবিধান দিবসের উপর একটি প্রস্তাব নিয়ে শুরু হওয়া বিতর্কে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জনমুখী কাজের প্রসঙ্গ তুলে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের নানা বাধা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার জনগণের স্বার্থে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই প্রস্তাবকে রাজনৈতিক হ্যান্ডবিল বলে তকমা দিয়েছেন এবং সংবিধান দিবসের প্রস্তাব নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন।
হাওড়া স্টেশন থেকে কলকাতা বিমানবন্দর মেট্রোয় পৌঁছানোর পথ সহজ হতে চলেছে
গুরুত্ব অপরিসীম
বিরোধী দল বিজেপি নারী নির্যাতন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব এনেছিল।তবে সেই প্রস্তাবের আলোচনার সুযোগ না পাওয়ার কারণে বিরোধীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডলের মাইক বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে, যার পর বিজেপি বিধায়কেরা ওয়াক আউট করেন।তারা বিধানসভার বাইরে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান।প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির বিরুদ্ধে ‘থ্রেট কালচার’ চালানোর অভিযোগ করা হয় এবং বলা হয় যে, কেন্দ্রীয় সরকার দেশের সাংবিধানিক কাঠামো এবং ধর্মনিরপেক্ষতার উপরে আক্রমণ চালাচ্ছে। অন্যদিকে, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, বিজেপির উদ্দেশ্য শুধু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা, কারণ তারা আলোচনা চাইলে ওয়াক আউট করত না।
রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগঃ পরবর্তী শুনানি কবে?
অপরদিকে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যে পাল্টা আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ‘লোকসভায় বিরোধী সাংসদদের সাসপেন্ড করে বিল পাশ করার ঘটনা আমরা দেখেছি, আর রাজ্য বিধানসভাতেও এরকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হচ্ছে।’ এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে, শুভেন্দু অধিকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে তিনি লোকসভার স্পিকার ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে চিঠি পাঠাবেন, যাতে বিষয়টি উত্থাপন করা যায়। তবে রাজ্য সরকার দাবি করছে যে, নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও জনগণের জন্য উন্নয়নমূলক কাজ চলছে এবং সেগুলির গুরুত্ব অপরিসীম।
