ব্যুরো নিউজ,২৮ ডিসেম্বর:গ্রামের বাসিন্দারা প্রার্থনা করছেন, যেন সিমলিপালের সেই বাঘিনী, জিনাত, সুস্থ অবস্থায় বনদপ্তর কর্তৃপক্ষের হাতে ধরা পড়ে। গ্রামবাসীরা মানত করছেন বনদেবীর কাছে, কারণ ২০১৮ সালের একটি ঘটনা তাদের হৃদয়ে গভীর দাগ রেখে গেছে। ওই বছরের মার্চ মাসে লালগড়ের জঙ্গলে প্রথম বাঘের উপস্থিতি টের পেয়েছিল বনদপ্তর। এরপর দীর্ঘ আড়াই মাসে বিভিন্ন এলাকায় বাঘটির চলাফেরা দেখা যায় এবং ট্র্যাপ ক্যামেরাতেও তার ছবি ধরা পড়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত, সুন্দরবন থেকে বিশেষজ্ঞ নিয়ে এসে বাঘটি ধরা সম্ভব হয়নি।
বনকর্মীদের বক্তব্য জিনাতের চরৈবেতি স্বভাব আগা গোড়াই, কবে ফিরবে সে নিজের ঘরে?
গভীর দাগ
গ্রামের বাসিন্দা বিমল মাহাতো বলেন, “আমরা বনদেবীর কাছে মানত করছি, যেন জিনাত সুস্থ অবস্থায় ধরা পড়ে। এক সময় গোটা দেশ আমাদের গ্রামের নাম জানত, কারণ ওই বাঘকে হত্যা করা হয়েছিল। আমরা চাই না, এই বাঘটিরও সেই পরিণতি হোক।” ২০১৮ সালের ১৩ এপ্রিল, চৈত্র মাসের সংক্রান্তির আগে, বাগধারা জঙ্গলে একটি বাঘের মৃত্যু হয়েছিল শিকারিদের হামলায়। ওইদিন, শিকারীরা অস্ত্র নিয়ে জঙ্গলে শিকারে বের হয়েছিল। তারা যখন গাছের তলায় বাঘটির কাছে পৌঁছায়, বাঘটি ঝাঁপিয়ে পড়ে। পাল্টা আঘাতে শিকারিরা বাঘটিকে হত্যা করে।
বাজার থেকে কিনে আনা গুড় কতটা খাঁটি কীভাবে বুঝবেন? গুড়ের ভেজাল শনাক্ত করুন সহজ পদ্ধতিতে
এই ঘটনায়, দুই শিকারীর পিঠে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছিল বাঘের থাবায়, কিন্তু তারা প্রাণে বেঁচে যান। আজও তাদের পিঠে সেই থাবার চিহ্ন রয়ে গেছে।গ্রামবাসীরা আফসোস করে বলেন, “যদি সেদিন বাঘটি না মারা হতো, তাহলে ভালো হতো।” এখন তারা চান, জিনাতের সাথে ২০১৮ সালের ঘটনা যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে। তারা আশা করেন, প্রশাসন ও বনদপ্তর দ্রুত জিনাতকে জীবিত উদ্ধার করতে পারবে।



















