ব্যুরো নিউজ,৭ ফেব্রুয়ারি :১৯৬২ সালে চিনের আক্রমণের সময় খালি করে দেওয়া হয়েছিল উত্তরাখণ্ডের দুই সীমান্তবর্তী গ্রাম। তারপর থেকে ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সেগুলি জনশূন্যই ছিল। কিন্তু এবার সেই গ্রাম দু’টিকে পুনর্নির্মাণের ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
দিল্লিতে মঙ্গলবার মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ? বিজেপি বিধায়কের ফরমান ঘিরে বিতর্ক
পর্যটনকে নতুন রূপ দিতে উদ্যোগী কেন্দ্র
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ, ২০২৫) উত্তরকাশীর হর্ষিলে আয়োজিত এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদী এই ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “১৯৬২ সালে চিনের হামলার পর এই দুটি গ্রাম খালি হয়ে গিয়েছিল। মানুষ ভুলে গেলেও, আমরা ভুলিনি। এবার আমরা সেই গ্রামগুলিকে নতুন করে গড়ে তুলতে চাই এবং সেখানে একটি বৃহৎ পর্যটনকেন্দ্র তৈরি করতে চাই।”
উত্তরাখণ্ডের পর্যটন শিল্পকে আরও বিকশিত করার লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মোদী চান, উত্তরাখণ্ডে সারা বছর পর্যটনের ঢল বজায় থাকুক এবং কোনো ঋতুই ‘অফ-সিজন’ না থাকুক।
বর্ষব্যাপী পর্যটনের পরিকল্পনা
মোদী জানান, বর্তমানে মার্চ, এপ্রিল ও জুন মাসে বেশি পর্যটক আসেন, কিন্তু বাকি সময় অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়। শীতকালেও যদি পর্যটন বাড়ানো যায়, তাহলে রাজ্যের হোটেল, হোম-স্টে ও স্থানীয় ব্যবসা আরও লাভবান হবে।
২৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে উঠছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলা, আশায় কর্মীরা
তিনি আরও বলেন, উত্তরাখণ্ডের শীতকালের সৌন্দর্য অনন্য এবং এই সময়ে পর্যটকরা স্কিয়িং, ট্রেকিং-এর মতো অ্যাডভেঞ্চার উপভোগ করতে পারেন। কর্পোরেট সংস্থাগুলোকেও আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে তারা শীতকালে উত্তরাখণ্ডে বৈঠক ও কনফারেন্সের আয়োজন করে।এই উদ্যোগ উত্তরাখণ্ডের পর্যটন শিল্পকে এক নতুন মাত্রা দিতে চলেছে।