ব্যুরো নিউজ,২৯ নভেম্বর:এমন একটি যুগে,যেখানে বিয়েতে সোনার গয়নার উপস্থিতি অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেখানে বারাসাতের মেয়ে ঊষসী কর নিজের বিয়েতে ইমিটিশনের গয়না পরেই সামাজিক মনোভাবের বিরুদ্ধে এক বিপ্লব ঘোষণা করেছেন। তার এই সিদ্ধান্ত একদিকে যেমন প্রশংসিত হয়েছে, তেমনি অন্যদিকে তাকে ট্রোলও করা হয়েছে।ঊষসী কর, পেশায় সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা, সম্প্রতি বিয়ে করেছেন ডাক্তার অয়নকে। বিয়েতে সোনার গয়না না পরলেও, ঊষসী যে বিয়ের সাজে কোনও কমতি রাখেননি, তা স্পষ্ট। সোনার গয়না না পরলেও, ঊষসী সেজেছিলেন একটি লাল ডিজাইনার বেনারসি শাড়িতে, যা কিনা টলিপাড়ার বিখ্যাত ডিজাইনার অভিষেক রায়ের ‘বহুরূপী শান্তিনিকেতন’ ব্র্যান্ডের। এই বেনারসি শাড়ির দাম ছিল ২৫ হাজার টাকা, এবং তার ব্লাউজটির দাম ছিল ৬ হাজার টাকা। অর্থাৎ, সোনার গয়না না পরলেও বিয়ের সাজে ঊষসী ৩১ হাজার টাকা খরচ করেছেন।
বাংলায় আলু উৎপাদনে স্বনির্ভরতার পথে রাজ্য সরকার, ২০২৫ সাল থেকে কি কমবে দাম?
গর্বিত তিনি
যদিও ঊষসী সোনার গয়নার পিছনে টাকা খরচ করেননি, কিন্তু তার বিয়ের আয়োজনে কোনও খামতি ছিল না।এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে তার যুক্তি ছিল, বাবার সঞ্চয়ের টাকা শেষ করে গয়না কেনা ঠিক নয় এবং সেই চিন্তা থেকেই তিনি সোনার গয়না না পরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।তার মতে, সোনার গয়না না পরেও বিয়ে করা যায়।সোনার গয়না পড়া কেবল একটি সামাজিক ধারণা।এদিকে, তার সোনার গয়না না পরার সিদ্ধান্ত নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বেশ কিছু ট্রোলিং চলছিল। তবে, ঊষসী এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে সময় নেননি। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, আমি ৮ বছর সরকারি চাকরি করছি, মেকআপ, ফটোগ্রাফি ইত্যাদি খরচ আমি নিজেই সামলাতে পেরেছি। সোনার গয়না কেনার টাকা ছিল না, তাই কিনিনি। আর জানো, আমি, আমার বাবা, আমার বর—সবাই সৎপথে রোজগার করা টাকা দিয়ে আমাদের জীবনযাপন করি।
এয়ার ইন্ডিয়ার পুনরুজ্জীবনঃ চ্যালেঞ্জের মধ্যে এগিয়ে চলেছে পাঁচ বছরের পরিকল্পনা
তিনি আরও লিখেছেন, আমাদের বিয়ে বিশেষ, ভারতীয় আইনে স্বীকৃত, আর এটা তো তোমাদের দুঃখের কারণ নয়। আমাদের বাবা-মায়েরা আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন, এটা তোমাদের দুঃখ হওয়া উচিত নয়।এই বিয়ের মাধ্যমে ঊষসী কর সমাজের চিরাচরিত ধারণা ভেঙে দেখালেন, সোনার গয়না না পরেও বিয়ে করা সম্ভব। আর সবচেয়ে বড় কথা, তিনি নিজেকে এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন যাতে, নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে গর্বিত হতে পারেন।