ব্যুরো নিউজ,২৭ নভেম্বর:বিভিন্ন সরকারি কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে থাকা ডিএ মামলার নিষ্পত্তি চাইছেন, কিন্তু সেই মামলায় আইনজীবী পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছেন অনেকেই। এই বিষয়ে কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় একটি ভিডিও বার্তায় তার মতামত দিয়েছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, মামলার আইনজীবী পরিবর্তন করার বিষয়টি তাদের হাতে নেই এবং মামলার দায়িত্ব যারা শুরু থেকেই পালন করছেন, তারা-ই তা চালিয়ে যাবেন।
কলকাতা থেকে সরাসরি কুয়ালালামপুর এবং ব্যাংককঃ বিদেশ যাত্রার নতুন সুবিধা
মামলার নিষ্পত্তি নিয়ে সংশয় সৃষ্টি
মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, মামলা যে আইনজীবীরা চালাচ্ছিলেন, তাদের পরিবর্তন করার মতো আমাদের ক্ষমতা নেই। যদিও মামলা চলাকালীন আমরা প্রচুর খরচের মধ্যে পড়েছি, কিন্তু সবার জানানো উচিত যে, মামলার দায়িত্ব বদলানোর কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই।মলয় মুখোপাধ্যায় আরও উল্লেখ করেন, আমাদের দাবি যেহেতু সরকারের বিরুদ্ধে, তা নিয়ে সরকার আদালতে তাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। সরকারের বক্তব্য শুনে আদালত আমাদের কথা শোনার পরে পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারিত হবে। এটা ১ থেকে ৩টি শুনানির মধ্যেই সমাধান হতে পারে, তবে সেটা সময়ই বলে দেবে।এই মামলা মূলত পঞ্চম বেতন কমিশন সংক্রান্ত এবং ২০১৬ সাল থেকে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। প্রথমে রাজ্য সরকারের পক্ষে স্যাটে জয় পেয়েছিল, কিন্তু তারপর থেকে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা একের পর এক জয় পেয়েছেন। মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য জাস্টিস ঋষিকেশ রায় ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারি অবসর নেবেন। অনেক সরকারি কর্মচারী এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন, কারণ এই মামলার নিষ্পত্তি নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে জাস্টিস রায়ের অবসরগ্রহণের আগের সময়সীমা খুব কাছাকাছি চলে এসেছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার খাতায় অস্বাভাবিক নম্বর দেওয়া নিয়ে বিক্ষোভ ও শোকজ
এদিকে, ২০২২ সালে এই মামলার প্রথম শুনানি হয়েছিল যখন বিচারপতি ছিলেন জাস্টিস দীনেশ মাহেশ্বরী ও জাস্টিস ঋষিকেশ রায়। পরবর্তীতে মামলাটি উঠেছিল জাস্টিস ঋষিকেশ রায় এবং জাস্টিস দীপঙ্কর দত্তের এজলাসে। ২০২৩ সালের মার্চে এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং সঞ্জয় কুমারের এজলাসে। ২৮ এপ্রিল, ২০২৩ সালে মামলাটির শুনানি শেষবারের মতো হয়েছিল, কিন্তু এরপরই বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী অবসর নেন।
