ব্যুরো নিউজ,৪ নভেম্বর:সাম্প্রতিক সময়ে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই বিধায়ক দলের স্থানীয় নেতৃত্বের হাতে আক্রমণের শিকার হয়েছেন, যা শাসকদলের জন্য নতুন করে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।কালীপুজোর রাতে উত্তর ২৪ পরগনার সুন্দরবনে দুটি পৃথক ঘটনায় তৃণমূলের বিধায়করা স্থানীয় নেতৃত্বের হাতে আক্রান্ত হন। এই ঘটনা দলের ভেতরের অন্তর্দ্বন্দ্বকে প্রকাশ করেছে।এই ঘটনা আসন্ন উপনির্বাচনের প্রাক্কালে দলের জন্য চিন্তার বিষয়।
যোগী আদিত্যনাথকে হত্যার হুমকিঃ রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে!
এমন পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘দলের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই, আমরা সবাই একত্রে উপনির্বাচনে লড়ব। মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে আছে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ পরিবারের মতো লড়াই করব এবং ফলাফল আমাদের পক্ষে আসবে।’ আক্রমণের ঘটনা নিয়ে জানা গেছে, মিনাখাঁর বিধায়ক উষারানি মণ্ডলকে শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হয়। তাকে মারধর করার সময় রড দিয়ে পায়ে আঘাত করা হয়, যার ফলে তার পা ফেটে যায়। অন্যদিকে, সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতোও আক্রান্ত হন। তার গাড়িতে পাথর ছোঁড়া হয়, যা স্থানীয় তৃণমূল নেতা আবদুল কাদের মোল্লার কর্মকাণ্ড হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
লেকটাউনে কালীমণ্ডপে অপকর্মের অভিযোগঃ বিজেপির তরুণজ্যোতির তোপ
বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ‘নিখোঁজ পোস্টার’ লাগানোর অভিযোগও উঠেছে, যা দলের অন্তর্দ্বন্দ্বকে স্পষ্ট করেছে। স্থানীয় কর্মীরা দাবি করছেন যে, বিধায়ক এলাকায় নেই এবং তাই পোস্টার লাগানো হয়েছে।বসিরহাটে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে,যা দলটির ভিতরে অস্থিরতা বাড়াচ্ছে।এখন দেখার বিষয়, তৃণমূল কংগ্রেস এই সংকট থেকে কীভাবে বের হবে এবং আসন্ন উপনির্বাচনে তারা কীভাবে দলীয় ঐক্য বজায় রাখতে সক্ষম হবে।