ব্যুরো নিউজ,৮ ডিসেম্বর:রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আবাস প্রকল্পের আওতায় প্রত্যেক উপভোক্তার জন্য একটি করে সুনির্দিষ্ট নম্বর (ইউনিক আইডি) তৈরি করা হবে যাতে বিতর্ক এড়ানো যায়। সম্প্রতি নবান্ন যে নির্দেশিকা দিয়েছে তাতে এটাই স্পষ্ট করা হয়েছে যে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলা প্রশাসনকে এটি কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে সুনিশ্চিত করা হবে যে এক জনের বরাদ্দ অন্যের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে না চলে যায়। প্রশাসন জানিয়েছে, এই কাজে পুলিশও সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।
উপভোক্তাদের চাহিদা
সম্প্রতি যে ট্যাব বিতর্ক উঠেছিল তার পরেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনায় ট্যাবের টাকা এক জনের বদলে অন্যের অ্যাকাউন্টে পৌঁছানোর অভিযোগ উঠেছিল। তার পর থেকেই পুলিশকে আরও বেশি সতর্ক হতে বলা হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবাস প্রকল্পের জন্য ১৫-৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে টাকা ছাড়ার ঘোষণা করেছিলেন। এখন সরকার বিভিন্ন জেলায় শিবিরের আয়োজন করছে যেখানে উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের যাচাই এবং ইউনিক আইডি দেওয়া হবে।পুলিশ এবং প্রশাসন একযোগে কাজ করবে যাতে সব কিছু সুষ্ঠুভাবে চলতে পারে। শিবিরগুলোতে আধার কার্ড, ব্যাঙ্কের পাসবই এবং আধার-সংযুক্ত মোবাইল নম্বর সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত থাকতে হবে। ওটিপি এবং বায়োমেট্রিক যাচাইকরণের মাধ্যমে উপভোক্তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ইউনিক আইডির মাধ্যমে টাকা বিতরণ হবে এবং তা পরবর্তীতে যাচাইয়ের জন্যও ব্যবহার করা হবে।
আলু পাচারের বিরুদ্ধে পুলিশের কড়া নজরদারি
এখন পর্যন্ত আবাস প্রকল্পে প্রায় ১১ লক্ষ উপভোক্তার নাম ছিল কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে আরও এক লক্ষ মানুষকে আবাস প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। এদের প্রত্যেককে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। এই কিস্তির টাকা মোট ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকায় দাঁড়াবে। পরবর্তীতে দ্বিতীয় কিস্তিতেও সমপরিমাণ টাকা দেওয়া হবে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে রাজ্য সরকার সতর্ক থাকতে চায় কারণ কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে আবাস প্রকল্পের বরাদ্দ নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে এবং উপভোক্তাদের চাহিদা বাড়ছে।