ব্যুরো নিউজ,২৩ জানুয়ারি :সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণ করেই তার কঠোর অভিবাসন নীতির ঘোষণা করেছেন। প্রথম দিনেই তিনি একাধিক নির্বাহী নির্দেশিকায় সই করেছেন, যা ভারতীয় অভিবাসীদের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতে চলেছে। বিশেষত, নাগরিকত্ব ও অভিবাসন সংক্রান্ত নতুন আইন এবং পরিবর্তিত নীতির কারণে বহু ভারতীয় তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর চিন্তা করছেন।এই পরিস্থিতিতে, ওয়াশিংটন সফরে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরকে ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ভারত সরকার সবসময়ই নিজেদের নাগরিকদের ফেরানোর বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে।”
রাজু দার নতুন মিউজিক ভিডিওর ঝলক, পরোটা বিক্রির সাথে সাথে তার নতুন উদ্যোগ!
মার্কিন নাগরিকত্ব পাবে না?
তিনি আরও যোগ করেন, “অবৈধ অভিবাসী হলে পৃথিবীর যেকোনো দেশের ক্ষেত্রেই ভারত তাদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত থাকে, এবং এই নীতি শুধু আমেরিকার জন্য নয়, সবার জন্য প্রযোজ্য।”ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসার পরই অভিবাসন নীতি আরও কঠোর হয়েছে। ২০২৪ সালে মার্কিন সীমান্তে অবৈধভাবে প্রবেশের জন্য আটক হওয়া বিদেশির মধ্যে ভারতীয়দের সংখ্যাও যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্কিন অভিবাসন দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর ২৬৪৭ ভারতীয়কে অবৈধভাবে সীমান্ত পার করার জন্য আটক করা হয়েছে।এছাড়া, ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকারও বাতিল করা হয়েছে। দীর্ঘ ১৫০ বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া শিশুরা জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পেয়ে আসছিল, কিন্তু ট্রাম্পের নতুন নির্দেশিকায় সেই অধিকার বাতিল করা হচ্ছে। ২০২৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে, যার ফলে অবৈধ অভিবাসীদের সন্তান আর মার্কিন নাগরিকত্ব পাবে না।
ঝুলন গোস্বামীর নামে ইডেন গার্ডেন্সে স্ট্যান্ডের নামকরণ, মহিলাদের ক্রিকেটে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত
এমনকি, যেসব অভিবাসী বৈধভাবে মার্কিন মুলুকে বসবাস করছেন, তাদের সন্তানও যদি কোনোভাবেই স্থায়ী বাসিন্দা না হন, তাদেরও নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে না।এই নীতির ফলে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে ভারতীয় অভিবাসীদের ওপর। ২০২৩ সালে ভারতীয়দের মধ্যে ২,২৯,৩৮৬ শিশু আমেরিকায় জন্ম নিয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিক হতে পারতেন, কিন্তু ট্রাম্পের নতুন নিয়মে তাদের নাগরিকত্ব বাতিল হবে।তবে, জয়শংকর স্পষ্ট জানান, “ভারত সরকার কখনোই এই পরিস্থিতিতে অবৈধ অভিবাসীদের ফিরিয়ে নিতে আপত্তি করবে না।” এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে, বহু ভারতীয় অভিবাসী তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হতে পারেন।
