ব্যুরো নিউজ,২৩ জানুয়ারি :ডোনাল্ড ট্রাম্পের একের পর এক সিদ্ধান্তের প্রভাবে ভারতীয়দের ওপর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। তার অভিবাসন নীতি থেকে নাগরিকত্ব ইস্যুতে অনেক ভারতীয় কঠিন সময় পার করছেন। এই পরিস্থিতিতে, মার্কিন মুলুকে আছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর, যিনি বর্তমানে ওয়াশিংটনে অবস্থান করছেন। আর এই অবস্থানে ট্রাম্প আবার শুল্ক বাড়িয়ে ভারতকে একধরনের চাপ সৃষ্টি করেছেন।এমন সময়, মার্কিন-ভারত সম্পর্ক নিয়ে যখন জয়শংকরের কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তখন তিনি জানান, “এটা স্পষ্ট যে, ট্রাম্প প্রশাসন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে মজবুত করতে আগ্রহী। তারা এই সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।”
পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফোটোশুটে রোহিত শর্মার যাওয়া নিশ্চিত নয়
কি বললেন তিনি?
জয়শংকর আরও বলেন, “বর্তমান মার্কিন প্রশাসন কোয়াড উদ্যোগকে আরও এগিয়ে নিতে চাইছে, কিন্তু মার্কিন আধিকারিকদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা এখনও হয়নি।”তিনি আরও বলেন, “ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বিশ্বাসের স্তর এখন অনেক উঁচুতে। আমরা একসঙ্গে বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক স্তরে ভালো কাজ করতে পারি। তবে এখন পর্যন্ত আমরা বড় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি, গভীরে গিয়ে আলোচনা করা হয়নি।” এদিকে, কোয়াডের মঞ্চ থেকে চীনকে কড়া বার্তা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। যদিও চীনের নাম উল্লেখ না করলেও, ওয়াশিংটন স্পষ্টভাবেই বেজিংকে সতর্ক করেছে। ভারত, জাপান, আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার চতুর্দেশীয় অক্ষ বা কোয়াডের বিদেশমন্ত্রীরা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, “ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একতরফা শক্তি প্রয়োগের চেষ্টা করলে তা বরদাস্ত করা হবে না।”
শিয়ালদহ ও হাওড়া ডিভিশনে সেতুর কাজ, বাতিল ১০০টির বেশি ট্রেন!
ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর জানিয়েছেন, কোয়াড বৈঠক থেকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, এই অস্থির দুনিয়ায় কোয়াড বিশ্বের ভালোর জন্য কাজ করবে। তিনি বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসনের শপথগ্রহণের পরেই কোয়াডের বৈঠক হল, যা প্রমাণ করে আমেরিকার বৈদেশিক নীতিতে বন্ধু রাষ্ট্রগুলির সম্পর্ক কতটা অগ্রাধিকার পায়। আমরা নিশ্চিত করেছি যে, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল মুক্ত, স্থিতিশীল এবং সমৃদ্ধশালী থাকবে।” কোয়াডভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের যৌথ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “কোয়াডের কাজকর্ম এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা মুখিয়ে আছি। ভারত পরবর্তী কোয়াড সম্মেলন আয়োজন করবে, এবং সেই প্রস্তুতিতে আমরা নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যাব।”