ব্যুরো নিউজ ১১ জুন: তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য রাজনীতিতে ফের একবার তুঙ্গে বিতর্ক—মধ্যমঞ্চে কাশেম সিদ্দিকী। সম্প্রতি তাঁকে রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদে নিযুক্ত করেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে দলের অন্দরেই উঠেছে প্রশ্নের ঝড়। ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ও ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা সরাসরি কাশেমকে কটাক্ষ করেছেন এবং তাঁর অতীত কার্যকলাপ স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
চোর বলতেন, এবার নেতা!
হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘‘কাশেম একসময় আমাদের দলের বিরুদ্ধে রীতিমতো বিষোদ্গার করতেন। এমনকি লালবাজারের সামনে দাঁড়িয়ে সরকারকে আক্রমণ করেছিলেন। এখন তিনিই রাজ্য সাধারণ সম্পাদক! এটা সত্যিই ভাবার বিষয়।’’ শুধু তাই নয়, তিনি আরও বলেন, ‘‘দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটা হয়তো কোনও কৌশল। তবে ফলাফলই বলবে সেই কৌশল ঠিক না ভুল।’’
গরম ভাতের পাশে এক প্লেট, যা আপনাকে ভাবিয়ে দেবে!
রাজনীতিতে অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গ তুলে হুমায়ুন বলেন, ‘‘নওশাদের মতো চার বছরের রাজনীতি নেই কাশেমের। তাকে রাজনীতির ‘অ আ ক খ’ও জানাতে হবে আগে। শুধু নামেই নেতা হলেই তো হয় না, কাজ করে দেখাতে হবে। আগামী নির্বাচনে যদি কাশেম সত্যিই যোগ্য হন, মানুষ ভোট দিয়ে তার যোগ্যতার প্রমাণ দেবে।’’
কাশেম সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে একইভাবে তোপ দাগেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা। তিনি বলেন, ‘‘কাশেম সিদ্দিকী কখন কী বলেন, সেটাই বড় প্রশ্ন। আগে তৃণমূল নেতাদের চোর বলতেন, আর এখন সেই দলেই এসে বসেছেন! এটাই প্রমাণ করে তৃণমূল ও তার নেতৃত্ব কতটা উদার এবং মমতা-অভিষেকের পথ কতটা সঠিক।’’
কাঞ্চনজঙ্ঘার আলোয় উদ্ভাসিত অজানা দার্জিলিং
এই পরিস্থিতিতে কাশেম সিদ্দিকী নিজেকে কীভাবে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু থেকে বেরিয়ে দলে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেন, সেটাই এখন দেখার। যদিও তৃণমূলের নেতৃত্ব তাঁর প্রতি আস্থা রেখেছে, তবে কর্মী ও অন্যান্য নেতাদের প্রতিক্রিয়া থেকে স্পষ্ট, কাশেমের সামনে চ্যালেঞ্জ কম নয়।
এই বিতর্ক আবারও প্রমাণ করছে, বাংলার রাজনীতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরেই বিভাজন ও মতানৈক্য কতটা প্রকট। দলীয় নেতৃত্ব যাঁকে দায়িত্বে বসাচ্ছে, তাঁকেই ঘিরে দলের ভিতরে এমন তীব্র প্রতিক্রিয়া—এটি যে ভবিষ্যতের দিকচিহ্ন দেখাতে পারে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে।



















