ব্যুরো নিউজ, ৯ মেঃ গরমের তীব্রতা থেকে মুক্তি পেতে এবং একটু শান্তির নিঃশ্বাস নিতে প্রতিবছর বহু পর্যটক ছুটে যান দার্জিলিংয়ে। পশ্চিমবঙ্গের এই পাহাড়ি শহর শুধু চা-বাগান আর কুয়াশার জন্য নয়, তার ঐতিহাসিক রেললাইন, মনমুগ্ধকর সূর্যোদয় আর টয় ট্রেনের জন্যও বিখ্যাত। সাম্প্রতিক সময়ে দার্জিলিং আবার ভ্রমণপ্রেমীদের মন কাড়ছে নতুন সাজে।
মহাবীর জয়ন্তী ২০২৫: ব্যাংক ছুটির বিভ্রান্তি
কলকাতা থেকে দার্জিলিং পৌঁছনোর সহজ উপায় হল নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন পর্যন্ত ট্রেন এবং সেখান থেকে গাড়ি বা দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের টয় ট্রেন। তিন-চার ঘণ্টার পাহাড়ি রাস্তা পেরিয়ে যখন দার্জিলিং শহরে পৌঁছন, তখন চারপাশের সবুজ আর ঠান্ডা বাতাস মন ভরিয়ে দেয়।
মোদীর সৌদি সফর শুরু, বৈঠকে নজর প্রতিরক্ষা-বাণিজ্যে
টাইগার হিলে সূর্যোদয় আর চা-বাগানের গল্প
দার্জিলিং সফরের প্রধান আকর্ষণ হল টাইগার হিলের সূর্যোদয়। খুব ভোরে উঠে টাইগার হিল পৌঁছলে দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা শৃঙ্গের উপর সূর্যের প্রথম কিরণ। এই দৃশ্য দেখতে সারা বিশ্বের পর্যটকেরা ভিড় করেন। এর পাশাপাশি, হ্যাপি ভ্যালি টি গার্ডেনে ঘুরে চা তৈরির প্রক্রিয়া দেখা যায় এবং তাজা চা চেখে দেখার সুযোগ মেলে। ম্যাল রোডে হাঁটাহাঁটি, বাজার থেকে স্থানীয় হস্তশিল্প কেনা এবং ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল দেখতে যাওয়াও দার্জিলিং সফরের অভিজ্ঞতাকে আরও রঙিন করে তোলে।
রমজান ও দোলযাত্রা একসঙ্গেঃ শহরের শান্তি বজায় রাখতে কড়া নজরদারি পুলিশের
সম্প্রতি পর্যটকদের জন্য শহরে নতুন ক্যাফে, হোমস্টে এবং ট্রেকিং রুট চালু হয়েছে, যা দার্জিলিংকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। তবে ভিড়ের সময় এলে আগে থেকে হোটেল বুকিং করাই ভালো। প্রকৃতির কোলে কয়েকটা দিন কাটিয়ে মন ও শরীর দুটোই তরতাজা হয়ে ওঠে। তাই দার্জিলিং এখনও বাংলার মানুষের কাছে স্বপ্নের গন্তব্য।