ব্যুরো নিউজ,৪ নভেম্বর:দক্ষিণ কলকাতার হালতুতে কালীপুজোর মণ্ডপে ভাঙচুরের ঘটনায় তৃণমূলের দুই কাউন্সিলরের মধ্যে সংঘর্ষের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার রাতে এই ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। লিপিকা মান্নার অনুগামী কিছু তৃণমূল কর্মী নবীন সংঘের কালীপুজো মণ্ডপে হামলা চালাতে শুরু করেন।এ সময় ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের অনুগামী সমীরণ সাহা তাদের বাধা দিতে গেলে হামলাকারীদের আক্রোশের শিকার হন। অভিযোগ, সমীরণবাবুকে বেধড়ক মারধর করা হয় এবং তার স্ত্রী ও ছেলেও আক্রান্ত হন। মারধরের জেরে সমীরণবাবুর দুই চোখে প্রবল রক্তক্ষরণ হয় এবং তার দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
নারী নির্যাতনের ইস্যুতে রাজনীতির খেলঃ শুভেন্দুর নতুন দাওয়াই
অন্দরেই কোন্দল
এই ঘটনায় পুলিশ জাহাঙ্গির মল্লিক ও অভিজিৎ মণ্ডল নামে দুই তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। জানা গেছে, ধৃতরা কলকাতা পুরসভার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লিপিকা মান্নার অনুগামী। সুশান্ত ঘোষ, যিনি ওই কালীপুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করেছিলেন, বলেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে কাউন্সিলর জড়িত বলে আমার মনে হয় না। কোনও ক্লাব কাউকে ডাকতেই পারে। কিন্তু তার জন্য ভাঙচুর করা উচিত নয়। এটা মোটেও ঠিক হয়নি।’
শাসকদলে অস্থিরতাঃ তৃণমূলের বিধায়কদের ওপর আক্রমণ!
সুশান্ত মনে করেন, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণে এমন অশান্তি তৈরি হয়েছে। পুলিশ ধৃতদের সোমবার আদালতে পেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং তাদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে। এই ঘটনার ফলে দক্ষিণ কলকাতার রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে, যেখানে দলের অন্দরেই কোন্দল বেড়ে চলেছে।