শর্মিলা চন্দ্র, ২৬ মে : বারমেক বা বার্মিক কালিম্পং পাহাড়ের একটি ছোট হিমালয় গ্রাম। এটি ইচ্ছে গাঁও-এর খুব কাছে। তিস্তা ও কাঞ্চনজঙ্ঘার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য এখান থেকে দৃশ্যমান। আপনি যদি আপনার বারান্দা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার উপর একটি সুন্দর সূর্যোদয় দেখতে চান, তাহলে বারমেক যান। আপনি যদি বনে হাঁটতে ভালোবাসেন তবে যেতে পারেন বারমেক।
কালিম্পং পাহাড়ের একটি ছোট্ট গ্রাম বার্মিক
ঘুরে আসি :প্রাকৃতিক শোভা উপভোগ করতে ঘুরে আসুন ধোতরে
এই গ্রামটির চারিদিকে সবুজ বনানী, পাহাড়ের সারি আর তাদের তলদেশ জড়িয়ে সর্পিল ভঙ্গিতে এগিয়ে চলা তিস্তার রূপ মানসিক শান্তি এনে দেয়। বরফের চাদর মুড়ি দিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার উঁকি, নাম না জানা পাখিদের কলতান আর মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকা পাইনের দল মুছে দেবে মনের জমে থাকা সমস্ত গ্লানি। পাহাড়ের কোলে ছোট্ট ঘরে বসে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্যর সাক্ষী হতে পারবেন আপনিও। পাবেন নির্ভেজাল বাতাসে প্রাণ ভরে শ্বাস নেওয়ার সুযোগ। ঘরে বসে উপভোগ করতে পারবেন মেঘ, পাহাড়ের অন্তঃরঙ্গ সখ্যতা।
পাহাড়ের সরল, সাদাসিধে মানুষগুলোর উষ্ণ অভ্যর্থনা, আপ্যায়নে আপনি মুগ্ধ হবেন। সঙ্গে নিজেদের ক্ষেতের সবজি দিয়ে তৈরি ঘরোয়া রান্না মন ভরিয়ে দেবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। সমস্ত রকম ক্লান্তি দূর করতে চাইলে চলে আসুন বারমেক। মন রিফ্রেশ হয়ে যাবে।
কীভাবে যাবেন-
শিলিগুড়ি কিংবা নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে সরাসরি গাড়ি নিতে পারেন। অথবা শেয়ার গাড়ি বা বাসে করে চলে আসতে পারেন কালিম্পঙ। কালিম্পংয়ের সি কে চক থেকে ইচ্ছেগাওঁ/বার্মিক-এর শেয়ার গাড়ি আপনাকে পৌঁছে দেবে গন্তব্যে।
এখান থেকে গাড়ি নিয়ে কাছাকাছি জায়গাগুলি ঘুরে নিতে পারেন-
জলসা বাংলো ভিউ পয়েন্ট, দেওরালি ভিউ পয়েন্ট, ডেলো পার্ক, বুদ্ধ পার্ক, সায়েন্স সিটি, মরগ্যান হাউস, গল্ফ কোর্স, শাক্য মোনস্ট্রি/ দুর্পিন মোনস্ট্রি, পাইন ভিউ নার্সারী, হনুমান দেউল। যেতে পারেন লাভা ভিউ পয়েন্ট, লাভা মনাস্ট্রি, রিশপ, টিফিনদারা ভিউ পয়েন্ট, কোলাখাম, ছাঙ্গে ফলস।