ব্যুরো নিউজ,৩ জানুয়ারি:রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী সাধারণ মানুষের জন্য অনেক কাজ করলেও সম্প্রতি তার উপর অভিযোগ এসেছে। অভিযোগের মূল বিষয় হল, রাস্তায় লোকজন বাসের জন্য অপেক্ষা করে আছেন, কিন্তু বাসের সংখ্যা কম থাকায় তাদের দুর্ভোগ বাড়ছে। এই কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি নিয়ে পরিবহণ মন্ত্রীর উপর রাগ দেখান। সাধারণ মানুষকে পরিবহণের সমস্যা নিয়ে অভিযোগ জানাতে দেখা যায়, যা মুখ্যমন্ত্রীর কানে পৌঁছানোর পর তিনি ব্যাপক ক্ষুব্ধ হন।
বুধের মকর রাশিতে প্রবেশঃ কিছু রাশির জন্য লাভের সুযোগ, কিছু রাশিকে সতর্ক থাকার পরামর্শ থাকছে
কি সাফ জানিয়ে দিলেন?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক বৈঠকে পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে সাফ জানিয়ে দেন যে, সাধারণ মানুষের সমস্যার দিকে নজর দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, মন্ত্রী কিংবা সচিবেরা কখনোই রাস্তায় বেরিয়ে দেখেন না, সাধারণ মানুষ কী সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। কলকাতার রাস্তায় অনেক মানুষ বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকেন, কিন্তু তাদের জন্য পর্যাপ্ত বাসের ব্যবস্থা করা হয়নি। এমনকি, অফিসের সময়েও বাসের সংখ্যা কম থাকায় নিত্যযাত্রীদের দুর্ভোগ হয়।মুখ্যমন্ত্রী তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পরিবহণ দফতর ‘নীরব’ হয়ে গেছে, এবং তাদের কাজের তেমন কোনো ফলাফল দেখা যাচ্ছে না। তিনি পরিবহণ মন্ত্রীকে আরও নির্দেশ দেন, যাতে তিনি নিজে শহর ঘুরে দেখেন এবং সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “মন্ত্রী হিসেবে আপনার দায়িত্ব মানুষের জন্য কাজ করা। তাদের অফিস যাওয়ার সমস্যা দূর করতে হবে। যদি বাসের সংখ্যা বাড়ানো যায়, তা হলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে।”
জেন জেডের প্রেমের নতুন ফর্মুলা ‘ধীরে চল’ নীতি
এদিকে, পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী নিজে কিছু সমাধান দিয়েছেন, তবে তাতে বিশেষ পরিবর্তন দেখা যায়নি। তিনি বলেন, বাসের ফ্রিকোয়েন্সি কিছুটা বাড়ানো হয়েছে, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তার উত্তর খতিয়ে দেখে আরও কঠোর প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, “বিপদের সময়ে মন্ত্রীরা শহরে ঘুরে দেখবেন, না হলে কি হবে? সাধারণ মানুষ কীভাবে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, তাও দেখেন না।” এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রীকে আরো কড়া ভাষায় বলেন, “তুমি মন্ত্রী, তোমার দায়িত্ব হল কাজের ফলাফল দেখা। শুধুমাত্র একটি জায়গায় নয়, সারা শহরে দেখো কীভাবে বাসের সংখ্যা বাড়ানো যায়। যদি রাস্তায় বাস না থাকে, তাহলে মানুষ কি হাসপাতালে যাবে? এই সমস্যা মেনে নেওয়া যায় না।” মুখ্যমন্ত্রীর এই কড়া নির্দেশ এবং মন্তব্যের পর পরিবহণ মন্ত্রী বেজায় চাপে পড়েছেন।