ব্যুরো নিউজ, ২৩ সেপ্টেম্বর :দেশজুড়ে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটানো হচ্ছে কি না, তা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি, উত্তর প্রদেশের কানপুরে প্রেমপুর রেল স্টেশনের কাছে একটি গুরুতর ঘটনা ঘটে। দিল্লি-হাওড়া রেললাইনে রাখা একটি গ্যাস সিলিন্ডার রেলপথে পড়ে ছিল, যা একটি ফ্রেট ট্রেনের জন্য বিপদ সৃষ্টি করছিল। সৌভাগ্যক্রমে, লোকোপাইলটের তৎক্ষণাৎ নজরে পড়ে যাওয়ার কারণে বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
দুর্গাপুজোর ছুটির সূচি;ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে কবে
গ্যাস সিলিন্ডারের রহস্য
এই মাসের শুরু থেকেই এমন ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর, কালিন্দি এক্সপ্রেসও একই বিপদের মুখোমুখি হয়েছিল। তখন, কানপুরের কাছে রেললাইনে একটি সিলিন্ডার রাখা ছিল। চালক ব্রেক কষলেও, সিলিন্ডারের সাথে ধাক্কা লাগে এবং সেটি প্রায় ৫০ মিটার দূরে ছিটকে পড়ে। এর ফলে বড় একটি দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় যাত্রীরা।
উৎসবের মরশুমে পড়ুয়াদের পাতে ইলিশ-চিংড়ি
শুধু তাই নয়, গত শনিবার গুজরাটের সুরাটে কিম রেলস্টেশনের কাছে ফিসপ্লেট ও কি ইচ্ছাকৃতভাবে খুলে নেওয়া হয়েছিল। রেলের কর্মকর্তাদের সক্রিয়তা এবং দ্রুত পদক্ষেপের ফলে আবারও বড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।
এভাবে বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া ট্রেন দুর্ঘটনার পেছনে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব শক্তিশালী হচ্ছে। রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স এবং জিআরপি গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে, এ ধরনের ঘটনা কিভাবে ঘটছে এবং এর পিছনে মূল উদ্দেশ্য কী? দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কি সঠিকভাবে কাজ করছে? মানুষ এই বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে, কারণ নিরাপদ যাতায়াতের অধিকার প্রতিটি নাগরিকের।