ব্যুরো নিউজ,৪ আগস্ট:আর মাত্র কয়েকটা দিন। এরপর শুরু হয়ে যাবে দুর্গা পুজো। সারা বছর ধরে বাঙালির অপেক্ষা করে থাকেন, কবে দুর্গাপুজো আসবে। পুজো মানেই কেনা-কাটি, ঠাকুর দেখা, খাওয়া-দাওয়া এসব ব্যাপারগুলো তো রয়েছেই। আর এর মধ্যেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ভ্রমণ। কিন্তু কোথায় যাবেন বুঝতে পারছেন না, তবে এবার ঘুরে আসতে পারেন কলকাতা থেকে মাত্র চার ঘণ্টা দূরে পাহাড়ে ঘেরা এই জঙ্গলে।
কিভাবে যাবেন এই মনোরম জায়গায়
স্বস্তির দিন শেষ?ফের হু হু করে বাড়তে চলেছে সোনার দাম,একটি মিসড কলে জেনে নিন সোনার দর
তাহলে এবার ঘুরে আসুন কলকাতা থেকে মাত্র চার ঘন্টা দূরে দামাল পাহাড়ে ঘেরা অরণ্য। জামশেদপুর ইস্পাত নগরীর খুবই কাছে এই জঙ্গলময় পাহাড় অবস্থিত। আর এই মাল পাহাড় প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এক স্বর্গ। কারণ এই পাহাড়ে রয়েছে ঝরনা বনভূমি এবং বৈচিত্র্যময় জীবজন্তু।যা পাহাড়টিকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে ভ্রমণকারীদের জন্য।
চুল পড়ে যাওয়ার কারণ শুধুই কি শ্যাম্পু নাকি ব্যস্ততা?এইভাবে নিন চুলের যত্ন
কলকাতা থেকে টাটানগর পর্যন্ত যাওয়া যায় ট্রেনে। টাটানগর থেকে ট্যাক্সিতে বা বাসে করে মাত্র ৪০ মিনিটেই পৌঁছে যাবেন দলমা পাহাড়ে। কলকাতা থেকে এই পাহাড়ে দূরত্ব ২৪০ কিলোমিটার।অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এই দলমা পাহাড় ভ্রমণ করার জন্য বিশেষ সময়। কারণ এই সময় আবহাওয়া আরামদায়ক থাকে। কিন্তু এপ্রিল থেকে জুন মাসে গেলে অতিরিক্ত তাপমাত্রা থাকার কারণে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। বর্ষাকালে অর্থাৎ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে গেলে যেহেতু বৃষ্টিপাত হয় এই কারণে নানা রকম সমস্যায় পড়তে পারেন।
কুমোরটুলিতে ফটোগ্রাফারদের নো এন্ট্রি, নোটিশ জারি সমিতির
দলমা পাহাড় ভ্রমণের অন্যতম আকর্ষণ এখানকার পাদদেশে অবস্থিত ডিমনা হ্রদ। এখানে সীতারাম বাঁধ সংলগ্ন সীতারাম ঝর্না রয়েছে। এ পাহাড় ঘেরা এই হ্রদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সহজেই পর্যটকের মন জিতে নেয়। সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যিখানে নানারকম জীবজন্তুর হয়েছে।হাতি, চিতাবাঘ, বন্যকুকুর, হরিণ, নানারকম সুন্দর পাখি থাকার কারণে এই অভয়অরণ্যটাকে একটি বিচিত্র্যময় রূপ দেয়।তাই অবসর সময় পেলেনই ঘুরে আসবেন এই প্রকৃতির কোলে থাকা অপূর্ব বিচিত্রময় দলমা পাহাড়ে।