ব্যুরো নিউজ, ৯ জানুয়ারি:আমরা অনেক সময়েই পরিবারের মধ্যে আলোচনা করতে গিয়ে কিছু বিষয় শিশুর সামনে বলে ফেলি, কিন্তু কিছু বিষয় রয়েছে যা শিশুর সামনে বলা উচিত নয়। মনে রাখতে হবে যে, তাদের মনের বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য কিছু বিষয় গোপন রাখাটাই ভালো। বিশেষ করে কিছু সংবেদনশীল বিষয় বা জটিল পরিস্থিতি তাদের সামনে আলোচনা করলে তাদের মনোভাবের উপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক, কোন বিষয়গুলো শিশুর সামনে আলোচনা করা উচিত নয়।
সঞ্জয় দত্তের বিতর্কিত মন্তব্যঃ দীপিকা পাড়ুকোনকে নিয়ে যা বললেন সঞ্জু বাবা
যা যা এড়িয়ে চলা উচিত
প্রথমেই, অর্থনৈতিক অবস্থা। পরিবারে আর্থিক সংকট থাকলে কিংবা প্রচুর অর্থ থাকলেও, শিশুর সামনে এসব আলোচনা করা থেকে বিরত থাকুন। শিশুকে কখনোই এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন করতে দেওয়া উচিত নয়, কারণ এটা তার মনের উপর চাপ ফেলতে পারে। এমনকি পরিবারের আর্থিক অবস্থার বাড়াবাড়ি কিংবা সংকটের কথাও শিশুর সামনে বলা উচিত নয়।দাম্পত্য সমস্যা নিয়ে কখনোই শিশুর সামনে আলোচনা করা উচিত নয়। যদি পরিবারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সমস্যা থাকে, তবে সেটি শিশুর থেকে দূরে রাখাই ভালো। একইভাবে, দেশে বা বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থার মধ্যে যুদ্ধ বা রাজনৈতিক সমস্যা শিশুর সামনে আলোচনা না করাই উচিত। এসব পরিস্থিতি শিশুর মনকে বিভ্রান্ত বা চিন্তিত করে দিতে পারে।
এয়ার ফ্রায়ারে স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু কবাব তৈরি করুন। রইল সহজ রেসিপি
অন্যদের সমালোচনা করা খুবই ক্ষতিকর, বিশেষত পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। যদি আপনি কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্য করেন, তা শিশুদের কাছে পৌঁছাতে পারে, এবং তারা সেই মন্তব্য অন্যদের জানিয়ে দিতে পারে। এমনকি, শিশুর সামনে নৃশংসতার দৃশ্য দেখা উচিত নয়। কম্পিউটার, মোবাইল বা টেলিভিশনে এমন দৃশ্য দেখানো শিশুর মানসিক বিকাশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। শারীরিক বা মানসিক অসুস্থতার আলোচনা শিশুর সামনে করা উচিত নয়। যদি আপনি কোনো শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন বা মানসিক চাপ অনুভব করছেন, তাহলে এসব বিষয়ে শিশুকে না জানানোই ভালো। শিশুর মনে হতাশা বা চাপ তৈরি হতে পারে, যা তার স্বাভাবিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।