ব্যুরো নিউজ ২৯ মার্চ : আমাদের শরীরে কোলাজেন উৎপাদন স্বাভাবিকভাবেই বয়সের সঙ্গে কমতে থাকে। ২৫ বছর বয়সের পর থেকে প্রতি বছর কোলাজেন উৎপাদনের হার প্রায় ১% করে হ্রাস পায়। এর ফলে ত্বকে বলিরেখা পড়ে, শুষ্কতা বাড়ে এবং বার্ধক্যের লক্ষণ প্রকাশ পেতে শুরু করে। তবে কিছু নির্দিষ্ট খাবার নিয়মিত খেলে কোলাজেন উৎপাদন স্বাভাবিক রাখা সম্ভব, যা ত্বককে দীর্ঘদিন তারুণ্যদীপ্ত রাখবে।
Bangladesh: আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে , আমেরিকার চালে বাজিমাত
যে ৫টি খাবার কোলাজেন বাড়াতে সহায়ক
বছরের সবথেকে বড় রাশি পরিবর্তন! ঘর ছাড়ছেন শনিদেব, চকমকে ভাগ্য ফিরে পাবেন এই ৫ রাশির জাতক জাতিকারা
টক জাতীয় ফল কমলা, পাতিলেবু, আমলকি, জাম্বুরার মতো টক জাতীয় ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। শরীরের স্বাভাবিক কোলাজেন তৈরির জন্য ভিটামিন সি অপরিহার্য উপাদান। এটি কোলাজেন গঠনে সহায়তা করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল ও টানটান রাখে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় টক ফল রাখা খুবই জরুরি।হাড়ের ঝোল প্রাণীর হাড় ও সংযোগকারী টিস্যু দীর্ঘসময় ধরে সিদ্ধ করলে তৈরি হয় হাড়ের ঝোল, যা প্রাকৃতিকভাবে কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। মাটন বা চিকেনের হাড়ের ঝোলে প্রচুর পরিমাণে আমিনো অ্যাসিড, গ্লাইকোসামিন, কনড্রয়েটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস থাকে, যা ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অত্যন্ত কার্যকর। সার্ডিন মাছের হাড়, ত্বক ও আঁশ প্রচুর কোলাজেনের উৎস। যেহেতু সার্ডিনের প্রায় সব অংশই খাওয়া যায়, তাই এটি কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার হিসাবে দারুণ কার্যকর। এটি শুধু ত্বকের জন্য নয়, হাড় ও জয়েন্টের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি, ব্লুবেরির মতো বেরি জাতীয় ফল ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায় এবং ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধ করে। এছাড়া, এসব ফলে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন ত্বকের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখে এবং বলিরেখা কমায়। ব্রকলি হলো ভিটামিন সি ও সালফার সমৃদ্ধ একটি সবজি, যা কোলাজেন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং কোলাজেন ভেঙে যাওয়ার গতি কমিয়ে তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
সুস্থ ত্বকের জন্য সঠিক খাবার বেছে নিন,ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খাওয়া জরুরি। প্রাকৃতিকভাবে কোলাজেন বাড়াতে খাদ্যতালিকায় এসব খাবার যোগ করুন এবং দীর্ঘদিন সুস্থ ও উজ্জ্বল ত্বক ধরে রাখুন। পাশাপাশি, পর্যাপ্ত পানি পান ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা অনুসরণ করাও ত্বকের জন্য উপকারী।