ব্যুরো নিউজ,৪ সেপ্টেম্বর :প্রতিবাদ আন্দোলনের মাত্রা যেভাবে দিনের পর দিন বাড়ছে, তাতে চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই অস্বস্তি আরো বহুগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছেন তৃণমূলেরই রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার বিচার চেয়ে এর আগেও তাকে রাত দখলের ডাককে সমর্থন জানাতে দেখা গিয়েছিল। এবার ফের আরেকবার সোশ্যাল মিডিয়ায় রাত দখলের ডাকের আহ্বানকে সমর্থন জানিয়ে পোস্ট করেছেন সুখেন্দু।
বিরূপাক্ষর দাদাগিরি!কাকদ্বীপে পা দিলেই হিসাব! ফুঁসছেন ডাক্তাররা
কি বলেছেন সুখেন্দু?
পুলিশ ব্যর্থ তাই CISF, লজ্জায় লাল নবান্ন, সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র
আরজিকর ঘটনার প্রতিবাদে বিচার চেয়ে বুধবার ফের রাত দখলের ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আর এই রাত দখলের ডাক.. সোশ্যাল মিডিয়ায় যথেষ্ট সাড়া ফেলে দিয়েছে। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে সমাজের একটা বড় অংশ বুধবার রাত দখলে শামিল হবেন। সেই প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষের যোগদানের সম্ভাবনাও রয়েছে। আর সেই উদ্যমকে আরো বাড়িয়ে দিতে এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূলের সাংসদ সুখেন্দুশেখর বুধবার লিখেছেন, রাত দখল করো…. মানুষের মৌলিক অধিকার পুনরুদ্ধার কর। যাতে সংবিধানের ২১ নম্বর ধারা মোতাবেক মানুষ মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকতে পারে।
রাস্তায় নেমে প্রতিবাদের ফল? আচমকাই পড়ুয়াদের টাকা বন্ধ করলো নবান্ন
বুধবার তৃণমূল কংগ্রেসের এক রাজ্য নেতার কথায়, সুখেন্দুশেখর সরকার এবং দলের যে বিড়ম্বনা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন সেটা স্পষ্ট। তবে ওই নেতা আরো বলেন, সুখেন্দু শেখর রায় যেভাবে বিদ্রোহী হয়ে উঠেছেন, তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে এই বিপ্লব দেখালে ভালো হতো। তৃণমূলের তরফে যাই বলা হোক না কেন, ধীরে ধীরে আরজি কর আন্দোলন বাংলার নাগরিক সমাজকে যে আষ্টেপৃষ্ঠে প্রতিবাদের স্রোতে নিয়ে চলে এসেছে, যা খুব সহজে দমন করা সরকারের পক্ষে সাধ্য নয়, সেটা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এর আগেও সুখেন্দুশেখর রায়, আরজিকর হাসপাতালের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ অ্যারেস্ট হওয়ার পরেই এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, মিডল স্টাম্প উপড়ে গেল… এরপর কি?একইসঙ্গে বার্তা দিচ্ছেন সুখেন্দু, কাউকেই তিনি ভয় পান না। যতক্ষণ শরীরে প্রাণ রয়েছে, পাশবিক ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে যাবেন। বুধবার এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে তেমনটাই জানালেন সুখেন্দু।