ব্যুরো নিউজ, ২১ জুলাই: একুশে জুলাই এর আগের দিন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন তৃণমূল নেতা। যখন একুশে জুলাই নিয়ে বাংলা জুড়ে তৃণমূল প্রস্তুতি নিচ্ছে, ঠিক সেই সময়ে দলত্যাগ করলেন এক তৃণমূল নেতা। ইতিমধ্যেই একুশে জুলাই এর তৃণমূলের শহীদ দিবসের মঞ্চে বিজেপির কোন কোন নেতারা যোগ দেবেন এই বিষয়টি নিয়ে বিষয়টি নিয়ে প্রচার চালাচ্ছিল তৃণমূল। আর সেই ধরনের প্রচারের পাল্টা দিল বিজেপি।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ
মমতাই সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করেছেন, হারের কারণ খোলসা করলেন অধীর
উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা ব্লকের ফুলসারা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য হরষিত বিশ্বাস। তিনি দিন কয়েক আগে বনগাঁ তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেন। তার আগে তিনি বিজেপিতেই ছিলেন। এবার একুশে জুলাই এর আগের দিন অর্থাৎ ২০ জুলাই তিনি ফের তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করলেন। বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের কাছে সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের উপস্থিতিতে তৃণমূল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যোগদান করেন হরষিত। ফুলসারা গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল এবং বিজেপি সমান আসনে জয় ষলাভ করেছিল। ফলে টসে জিতে বিজেপির টুসি রায় সেন প্রধান হন। এবার হরষিত তৃণমূলে চলে আসায় সেই পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে চলে যায়।
ছুটতে হবে না কোথাও, ঘরে বসেই হবে পুলিশ ভেরিফিকেশন
হরষিতকে টেনে নিয়ে তৃণমূল ওই পঞ্চায়েতের দখল নিতে পেরেছিল। কিন্তু একুশে জুলাই এর আগে যখন তিনি ফের তার পুরনো দল বিজেপিতেই ফিরে গেলেন, তখন ওই ফুলসারা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিন্যাস বদলে গেল। ফের বিজেপির হাতেই ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল এলো। ফলে যখন একুশে জুলাই এর মঞ্চে বিজেপির কোন কোন নেতা যোগ দেবেন বলে একটা চর্চা রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার কৌশল নিয়েছিল তৃণমূল, ঠিক সেই সময়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এই বিষয়ে সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বলেন, অভিমান করে তিনি চলে গিয়েছিলেন। ভুল বুঝতে পেরে ফিরে এসেছেন। আর দলবদল করা ওই পঞ্চায়েত সদস্য হরষিত বলেন, মানুষের দাবি মেনেই ফের বিজেপিতে যোগদান করেছি। তৃণমূলের তরফে অবশ্য বলা হচ্ছে, টাকা দিয়ে বা ভয় দেখিয়ে তাকে আবার ফের বিজেপিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।