সধবাকে বিধবা সাজিয়ে ভাতা পাওয়ানোর অভিযোগ

ব্যুরো নিউজ,৭ জানুয়ারি:নদিয়ার শান্তিপুর পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের আড়পাড়ায় এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে, যা রাজনৈতিক বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। অভিযোগ উঠেছে, তৃণমূলের এক স্থানীয় নেতা উত্তম দেবনাথ, শেফালি দে নামে এক সধবাকে বিধবা ভাতা পাওয়ানোর জন্য বিধবা সাজিয়ে কাগজপত্র সই করিয়ে নিয়েছেন। এর ফলস্বরূপ, শেফালির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নিয়মিত ১০০০ টাকা করে ভাতা আসছিল। তবে, শেফালির স্বামী পরেশ দে বেঁচে আছেন এবং তিনি ওড়িশায় শ্রমিকের কাজ করেন। তবুও শেফালি কেন বিধবা ভাতা পেয়েছিলেন, তা জানতে চাইলে বিডিও অফিস থেকে তাঁকে ডাকা হয়। সেখানে তাঁকে জানানো হয় যে, তিনি বিধবা ভাতা পাচ্ছেন, কিন্তু তার স্বামী জীবিত আছেন। ভাতা ফেরত না দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।

১০৫ মিটার উঁচু স্তম্ভের মাধ্যমে রেল যোগাযোগের ইতিহাস রচনা

লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন?


এ ঘটনার পর শেফালির মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে, কারণ টাকা ফেরত দেওয়ার মতো আর্থিক ক্ষমতা তাদের নেই। পরবর্তীতে বিডিও, শান্তিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সরকারি প্রকল্পের অপব্যবহার নিয়ে। শেফালি ও তার শাশুড়িকে থানায় ডাকা হয়। শেফালির দাবি, তিনি জানতেন না যে, এটি বিধবা ভাতার ফর্ম। উত্তম দেবনাথই তাকে এই ফর্ম ফিল আপ করিয়ে নিয়েছিলেন এবং তিনি তো শুধু লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করেছিলেন।এদিকে, শেফালির স্বামী পরেশ দে তৃণমূল নেতাদের কাছে দলের কর্মী হিসেবে পরিচিত হলেও, স্থানীয় নেতারা এই ঘটনার পর তাঁর সাথে সম্পর্ক অস্বীকার করেছেন। বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, তৃণমূল নেতারা নিজেদের লোককে সুবিধা পাইয়ে দিতে এতটাই মরিয়া যে, জীবিত মানুষকে মৃত বলে ঘোষণা করতেও দুবার ভাবছেন না।

আফগানিস্তান ক্রিকেট দলকে বয়কটের আহ্বান জানালেন মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা

তিনি দাবি করেন, তৃণমূল কর্মীরা ভাতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আগে থেকেই টাকা নিয়ে রাখছেন, এবং তারপর মরিয়া হয়ে এক প্রকল্পের টাকা অন্য প্রকল্পে পেতে চেষ্টা করছেন। এটি রাজ্যজুড়ে চলমান একটি চিত্র।এই ঘটনা রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ সমালোচনার সৃষ্টি করেছে এবং একদিকে যেমন তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তেমনি প্রশাসনের পক্ষ থেকেও দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপের দাবি উঠেছে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর