ব্যুরো নিউজ ২ নভেম্বর : শীতকাল আসতে আএ দেরি নেই। রাতের আকাশে হিম আর সকালে শিশিরের উপস্থিতি শীতের আগমনের ইঙ্গিত দেয়। এই সময়ে বয়স্কদের পাশাপাশি শিশুদের বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি। শীতের এই মরশুমে সুস্থ থাকতে শিশুদের জন্য কিছু সহজ উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে।
নভেম্বরের শুরুতেই রাজ্যে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করলেন আইএমডি!
ঠাণ্ডা লাগা থেকে বাঁচতে রইল কিছু উপায়
১। শীতের সকালে ঘরের ফ্যানের স্পিড কমিয়ে শিশুকে ভালোভাবে ঢেকে দিন। হালকা চাদর দিয়ে গায়ে চাপিয়ে রাখতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে, যাতে শিশুরা ঘেমে না যায়, কারণ এতে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
২। সকালে ঘরের জানালা বন্ধ রাখুন, রোদ উঠলে খুলে দিন। যারা সকালে স্কুলে যায়, তাদের মাথায় হালকা স্কার্ফ ব্যাবহার করুন।
৩। এই সময়ে অনেক পরিবারে বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম জাতীয় সবজি রান্না হয়। তবে ৭ বছরের নিচে শিশুদের রাতের খাবারে এই ধরনের সবজি এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এগুলো পেট গরম এবং বদহজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে। যদি বাচ্চা বমি করে, তাহলে তাকে বারবার ওআরএস খাওয়ান। জল-মুড়ি, চিঁড়ে-জল, টক দইও খাওয়ানো যেতে পারে। তবে যদি দু-তিনবারের বেশি বমি হয় বা বমি বন্ধ না হয়, তাহলে তাড়াতাড়ি ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
ভাইফোঁটার প্রস্তুতিতে বাজারের ভিড়, উচ্ছ্বাসের মাঝেও দাম চড়া
৪। শীতে বাতাসে আর্দ্রতা কমে যায়, তাই স্নানের আগে ভালো ব্র্যান্ডের বেবি অয়েল বা স্নানের পর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
৫। শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রতিদিন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল, যেমন কমলালেবু, পাতিলেবু এবং আমলকী খাওয়ান। নিয়মিত মরশুমি ফল খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। যদি শিশুর গায়ে ব্যথা থাকে, তবে রাতে শোয়ার আগে এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো এক গ্লাস দুধে মিশিয়ে খাওয়ান।
৬। যদি ঠান্ডা লেগে জ্বর আসে, তাহলে প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনো ওষুধ দেওয়া উচিত নয়। জ্বর দুই দিনের বেশি থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। মুখে অরুচি হলে শিশুকে যা খেতে চাইবে তা দিন, তবে তেলে ঝাল মশলা কম খাওয়ান। মুখরোচক খাবার যেমন স্টাফড পরোটা, এগরোল, স্যান্ডউইচ বা চিঁড়ের পোলাও দেওয়া যেতে পারে।
যদি সর্দি-কাশি বা গলা ব্যথা থাকে, তাহলে শিশুকে স্কুলে না পাঠানোই ভালো, কারণ এতে অন্য শিশুদের মধ্যে রোগ ছড়াতে পারে। রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই মশারি টাঙিয়ে দিন এবং মসকুইটো রেপেলেন্ট ব্যবহারে সতর্ক থাকুন, যাতে ঘরে সারাক্ষণ মশারি টাঙানো থাকে।